হাওড়া স্টেশনে ট্রেনের কামরা থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ। জানা গিয়েছে, কাটিয়ার এক্সপ্রেস হাওড়া এসে পৌঁছনোর পর প্রতিবন্ধী কামরা থেকে ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তিনি পেশায় তবলা বাদক। তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিআরপির অনুমান ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে জিআরপি।
আরও পড়ুন: ছোট্ট দুই ছেলেকে ওভেনে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে খুন! মাকে যাবজ্জীবন সাজা দিল মার্কিন আদালত
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছয় কাটিহার এক্সপ্রেস। এরপর ট্রেনের কর্মীরা প্রতিবন্ধী কামরার উপরের বাঙ্কে সৌমিত্রর রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। তাঁর মৃতদেহ চাদর চাপা দেওয়া ছিল। জিআরপি সূত্রের খবর, তাঁর কাছে রেলের কোনও টিকিট বা পরিচয় পত্র ছিল না। তবে তদন্তে জানা যায়, তিনি বালির বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে জিআরপি এবং আরপিএফ। পরিবারের সদস্যরা ওই ব্যক্তির মৃতদেহ শনাক্ত করেছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার পর সেটি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌমিত্র তবলা শেখানোর জন্য কাটিহার গিয়েছিলেন। ওই ট্রেনে করেই তিনি ফিরে আসছিলেন। এরজন্য সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। এরপর তাঁর সঙ্গে আর পরিবারের লোকেদের যোগাযোগ হয়নি।
তবে কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল সেবিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। হাওড়া জিআরপির আধিকারিকদের দাবি, ব্যক্তির দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফলে তাঁকে খুনের তত্ত্ব জোরদার হচ্ছে। তবে আদৌও ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে নাকি অন্য কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছে জিআরপির তদন্তকারী দল। আঘাতের চিহ্নগুলি কী ভাবে এল? তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট হতে পারে। সেই অনুযায়ী তদন্ত করবে জিআরপি। বিহারের কাটিহার থেকে শুরু করে হাওড়া স্টেশন পর্যন্ত যেখানে যেখানে ট্রেনটি থেমেছে সেই সব স্টেশনগুলির কথাও মাথায় তদন্ত চালিত করছে জিআরপি। যদি এটি খুনের ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে এটি কোনও আততায়ীর কাজ কিনা? অথবা ওই ব্যক্তির পূর্ব পরিচিত কিনা সে সব তথ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রশ্ন উঠেছে ট্রেনে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে।