সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছিল প্রতিবাদ মিছিল। শেষ পর্যন্ত সেই মিছিল থেকেই চলল তাণ্ডবলীলা। অভিযোগ, ওয়াকফ সংশোধনী বিরোধীরা জলঙ্গিতে বিডিও অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াকফ প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার পথেই বিডিও অফিসে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। একদল যুবকের সেই তাণ্ডবের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি। তবে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে সরকারকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। (আরও পড়ুন: স্টেশন-জাতীয় সড়কে ছড়িয়ে তাণ্ডবের চিহ্ন, এখন কেমন আছে মুর্শিদাবাদ? দেখুন ভিডিয়ো)
আরও পড়ুন: ওয়াকফ প্রতিবাদের নামে তৃণমূল সাংসদের অফিস ভাঙচুর, খলিলুরকে ঘিরে ধরে গালিগালাজ!
আরও পড়ুন: ওয়াকফ তাণ্ডব ঠেকাতে BSF-এর শরণাপন্ন প্রশাসন, কী বলল সীমান্তরক্ষী বাহিনী?
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে সুকান্ত এই নিয়ে লেখেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায়, তথাকথিত ‘শান্তির দূত’রা - তোষণের পতাকাতলে লালিত সংখ্যালঘুরা চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। মুর্শিদাবাদের জলঙ্গিতে তাদের রোষে পুলিশ বাধ্য হয়েছিল পিছু হটতে। যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয় সেখানে এবং মুহূর্তের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ বিডিও অফিস ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। সেই বিডিও অফিসাররা, যারা একসময় নির্বাচনের সময় এবং পরে দলীয় ক্যাডার হিসেবে কাজ করতেন, তারা এখন হতবাক - আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছে। এই আধিকারিকরা যে রাজ্যের সেবা করেন, সেই রাজ্যই তাদের নিরাপত্তা বা মর্যাদা দেয় না।' (আরও পড়ুন: আন্দোলন এবার দিল্লিতে, ব্রাত্যের সঙ্গে বৈঠকের পর চাকরিহারাদের বড় সিদ্ধান্ত)
আরও পড়ুন: গোপন আলোচনা হয় রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীর, মুর্শিদাবাদ হিংসার পর মুখ্যসচিব বলেন…
এরপর সুকান্ত আরও লেখেন, 'এটা কেবল প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয় - ভোট-ব্যাঙ্কের রাজনীতির বেদিতে যখন শাসনব্যবস্থাকে বলি দেওয়া হয়, তখন এটাই ঘটে। অফিসগুলি অনিরাপদ। সরকারি আধিকারিকদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। তবুও শাসকগোষ্ঠী ধর্মনিরপেক্ষতার নামে বিশৃঙ্খলাকে আড়াল করছে। বাংলার রক্ত ঝরছে। আর যারা একসময় এটা সম্ভব করেছিল, এই পরিস্থিতি তৈরি করতে সাহায্য করেছিল... তারাই এখন সেই নৈরাজ্যের শিকার। এটি নির্লজ্জ তুষ্টিকরণের মূল্য। এটাই ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির ব্র্যান্ডের উত্তরাধিকার।'