এই বুথ সভাপতি মহৎআলি দফাদার প্রতিবেশী সিপিএম কংগ্রেস জোট সমর্থিত কর্মীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তৃণমূল কংগ্রেসেরই কয়েকজন সমর্থক ধারাল অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ধাপারিয়া অঞ্চলে তৃণমূল বুথ সভাপতি মহৎআলি দফাদারের বাড়িতে দুষ্কৃতী ঢুকে গুলি চালায়।
গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন।
তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতির বাড়িতে ঢুকে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এমনকী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আজ, বুধবার সকালে নদিয়ার নাকাশিপাড়া থানার ধনঞ্জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধাপারিয়া গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন চারজন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খুন করার অভিযোগ উঠেছে দলেরই বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। আক্রান্ত এই তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
এদিকে অভিযোগ, ভোট পরবর্তী হিংসার কারণে মঙ্গলবার থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম–কংগ্রেস জোট সদস্যদের মধ্যে বচসার সৃষ্টি হয়। ধাপারিয়া গ্রামে সিপিএম– কংগ্রেস জোট সমর্থিত এক কর্মীর বাড়ির পাশে বসবাস করেন তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি মহৎআলি দফাদার। এই বুথ সভাপতি মহৎআলি দফাদার প্রতিবেশী সিপিএম কংগ্রেস জোট সমর্থিত কর্মীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তাই আজ বুধবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসেরই কয়েকজন সমর্থক ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। আজ, বুধবার সকাল ৮টা নাগাদ নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ধাপারিয়া অঞ্চলে তৃণমূল বুথ সভাপতি মহৎআলি দফাদারের বাড়িতে একদল দুষ্কৃতী ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়।
তারপর ঠিক কী ঘটল? অন্যদিকে এই গুলি চালানোর জেরে গুলিবিদ্ধ হন বুথ সভাপতির ছেলে মতিয়াজুল রহমান দফাদার, তাঁর ভাইপো সামাজিক দফাদার এবং আরও দু’জন। তাঁদের উদ্ধার করে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মতিয়াজুল রহমান দফাদারকে (৩৫) মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করার পাশাপাশি গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবার সদস্যদের। সকালের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র আলোড়ন ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। সম্পূর্ণ বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ।
কে,কী ঠিক বলছেন? এই গোটা ঘটনা নিয়ে এলাকায় এখন আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই বিষয়ে নাকাশিপাড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস্য সিরাজ শেখ বলেন, ‘আমাদের দলের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নয়। ব্যক্তিগত বিরোধ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।’ আর এই খুন নিয়ে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘এদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। তদন্ত করে ঘটনাটি দেখা হচ্ছে।’