রাজ্যে বালি পাচারের অভিযোগ আগেই উঠেছিল। আর তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে কম জল গড়ায়নি। এবার হাতেনাতে পুলিশ পাকড়াও করল বালি পাচারকারী লরিকে। কিন্তু অভিনব উপায়ে এই বালি পাচার করা হচ্ছিল। তবে সেই ছক শেষপর্যন্ত সফল হয়নি। যদিও পুলিশ এই ছক দেখে চক্ষু চড়রগাছ। বালি পাচার ধরে ফেলল জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে জলপাইগুড়ির শান্তিপাড়া এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে বালি। তখনই ছুটে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। কিন্তু দেখে বোঝার উপায় ছিল না ওই দুটি লরি করে বালি পাচার হচ্ছে। কারণ লরি দুটির সামনে লাগানো ছিল রাজ্য সরকারের ফুড সাপ্লাই ডিপার্টমেন্টের বোর্ড। কিন্তু লরি দুটিতে তল্লাশি করতেই গোপন খবর মিলে যায়। তাতেই চক্ষু চড়কগাছ হয় পুলিশের।
জানা গিয়েছে, এইভাবে আগেও নাকি বালি পাচার হয়েছিল। লরি দুটিকে তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বালি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চালকদের কাছে তাদের লাইসেন্স দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেনি চালকরা। তার পরই তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে তারা। বাধ্য হয়ে গ্রেফতার করা হয় চালকদের।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত সংবাদমাধ্যমকে জানান, অবৈধ বালি পাচার হচ্ছিল। পুলিশের তৎপরতায় পাচারকারীদের ধরা গিয়েছে। এই দুটি লরিতে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের বোর্ড লাগানো ছিল। আর তার মোড়কে বালি পাচার করা হচ্ছিল। পুলিশ দুটি লরি এবং চালকদের গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হবে।