মহানন্দার জলে দূষণের জেরে যখন শিলিগুড়ি শহরে পানীয় জলের হাহাকার তখন জলপাইগুড়ি শহরের ভিতর দিয়ে বয়ে যাওয়া করলা নদী নিয়েও উদ্বেগের খবর শোনাল দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, পান করা তো দূরের কথা, করলার জল স্নান করা বা অন্যান্য দৈনন্দিক কাজে ব্যবহারেরও অযোগ্য।
আরও পড়ুন - মালদায় ফের বীভৎস নারী নির্যাতন, মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরে অভিযুক্ত TMC নেতা
পড়তে থাকুন - উত্তরবঙ্গে আরও এগল মৌসুমী বায়ু, দক্ষিণবঙ্গের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে বর্ষা
সম্প্রতি করলা নদীর জলের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরিমাপ করে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। BOD ও টোটাল কলিফর্ম, এই ২ মাত্রায় মাপা হয় নদীর দূষণ। পানীয় জল হিসাবে ব্যবহারের জন্য জলের BOD ০- ১ এর মধ্যে হওয়া বাঞ্ছনীয়। সেখানে করলা নদীর জলের BOD ২.৫ বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এছাড়া টোটাল কলিফর্মের মাত্রা পাওয়া গিয়েছে প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ১৭ হাজার ইউনিট। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পানীয় জল হিসাবে তো বটেই, এই জল দৈনন্দিক কাজে ব্যবহারেরও অযোগ্য। করলা নদীতে স্নান, কাপড় কাচা, বাসন ধোয়া বা ধর্মীয় আচার না পালন করতেও নিষেধ করেছেন তারা।
করলা নদীর দূষণ যদিও নতুন সমস্যা নয়। যত দিন গিয়েছে তত কমেছে করলার নাব্যতা। এক কালে যে নদীর মাছে ভরে উঠত জলপাইগুড়ি শহরের বাজারগুলি সেখানে এখন মাছের দেখা মেলা মুশকিল। জলপাইগুড়ির পুরপ্রধান পাপিয়া পাল বলেন, আমাদের পক্ষে একা দূষণ রোধ সম্ভব নয়, সেচ দফতরকেও এগিয়ে আসতে হবে। অনেক টাকা দরকার। আমরা আমাদের মতো করলাকে সুস্থ রাখার চেষ্টা চালাচ্ছি।
আরও পড়ুন - স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তৈরি হচ্ছে জলের পাউচ, পরিবহন হচ্ছে আবর্জনা ফেলার গাড়িতে
মাঝে প্রশাসনের তরফে তিস্তা ব্যারাজ থেকে করলায় জল ছাড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, তাতে নিচু এলাকায় প্লাবনের সম্ভাবনা রয়েছে।