এলাকায় ঘনঘন লোডশেডিং হয়। একটু বৃষ্টি বা বাতাস হলেই বিদ্যুৎ থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে এরকম চলে আসছে। এই গ্রামে ৩০০ থেকে ৪০০ টি পরিবারের বসবাস রয়েছে। এর ফলে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তার ওপর এখানে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই বলে গোটা এলাকা রাতের বেলায় অন্ধকারে থাকছে।
তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে রয়টার্স)
বর্ষাকালেও গরমে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। তার উপর গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় লোডশেডিংয়ের সমস্যা হচ্ছে। এই দুয়ের কারণে চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন রাজ্যবাসী। কোথাও ৩ ঘণ্টা আবার কোথাও ছ ঘণ্টা ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। আর মালদহের পুরাতন মালদা ব্লকে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ব্লকের নিত্যানন্দপুর, নাগেশ্বরপুর এবং সাহাপুর এলাকা গত তিন দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে বলে অভিযোগ। তার ওপর তীব্র জল সংকট দেখা দিয়েছে। এই সমস্ত কারণে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। এর প্রতিবাদে বিদ্যুৎ পরিষেবা এবং পানীয় জলের দাবিতে বালতি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেন মহিলারা।
মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় ঘনঘন লোডশেডিং হয়। একটু বৃষ্টি বা বাতাস হলেই বিদ্যুৎ থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে এরকম চলে আসছে। এই গ্রামে ৩০০ থেকে ৪০০ টি পরিবারের বসবাস রয়েছে। এর ফলে তারা সমস্যায় পড়ছেন। তার ওপর এখানে তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই বলে গোটা এলাকা রাতের বেলায় অন্ধকারে থাকছে। এর পাশাপাশি পানীয় জল ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তাদের বক্তব্য, বাড়িতে বাড়িতে জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ এই গ্রামের মানুষরা ঠিকমতো জল পাচ্ছেন না । এই দাবিতেই এদিন বিক্ষোভ করেন মহিলারা। তাদের হুঁশিয়ারি, দাবি মানা না হলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির দাবি, বিদ্যুৎ দফতরের কাছে বারবার আবেদন জানানো সত্বেও সেখানে ট্রান্সফর্মার বদল করা হচ্ছে না। সমস্যার সমাধান না হলে আগামীদিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের নামবেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে। তাই সেখানে মানুষের জন্য তৃণমূল কাজ করতে পারছে না। কারণ বিজেপি শুধু রাজনীতি করতে ভালোবাসে। যদিও বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি থাকার ফলেই গোটা রাজ্যে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।