তিনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। শুধু তাই নয়, মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। আর তাঁকেই দেখা যাচ্ছে হাতে বন্দুক নিয়ে তাক করে আছেন। সেই ছবি নিজেই নেটমাধ্যমে দেন তিনি। আর তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক। এই ছবি মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তখন প্রশ্ন উঠতেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন গোলাম সিরাজউদ্দিন আলি ওরফে পুকালু খান।
ঠিক কী সাফাই তৃণমূল কংগ্রেস নেতার? এদিন এই ছবি ঘিরে প্রশ্ন উঠতেই যুব তৃণমূল নেতা পুকালুর পাল্টি, ‘ওটা পাখি মারার বন্দুক। শখ ছিল। তাই ছবি তুলে নেটমাধ্যমে দিয়েছি। বিজেপি এটা নিয়ে বলবেই। কারণ ওরা বন্দুক চেনে না। ওরা শুধু চাইছে বদনাম করতে। বিজেপি জানে না কোনটা একে ফর্টি সেভেন আর কোনটা পাখি মারার বন্দুক। বিজেপি শুধু সুযোগ খোঁজে নিন্দা করার। পুলিশ প্রমাণ দেখতে চাইলে আমরা দেখিয়ে দিতে পারব।’
ছবিতে ঠিক কী দেখা গিয়েছে? ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস নেতার হাতে ধরা লম্বা একখানা বন্দুক। কিছু একটা তাক করে আছেন। এই ছবি প্রসঙ্গে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর বক্তব্য, ‘এলাকায় সন্ত্রাস করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস এসব করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বন্দুক শেখানোর প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। তাই তৃণমূল নেতা এই ছবি পোস্ট করেছেন।’
এই মন্তব্যের পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানের দাবি, ‘ওটা পাখি মারার বন্দুক ছিল। শখে ছবি তুলে পোস্ট করেছেন উনি। নিন্দা করাটাই বিজেপির কাজ। নিজেদের পায়ের নীচে জমি নেই তাই বিজেপি ভুলভাল কথা বলছে।’ এই ছবি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে। তবে সেখান থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।