‘আমি দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই’‌, নাম না করে বিজেপিকে তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেগুলি নিজের খরচে চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে উন্নয়নের কাজের জোয়ার এসেছে। উত্তরবঙ্গের ডাবগ্রামে দাঁড়িয়ে রীতিমতো কাজের হিসাব দিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখান থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে যেমন তুলোধনা করেছেন তেমন বিরোধীদেরও কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী দাঙ্গা নিয়েও কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে আজ, মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে গিয়ে বসেন জন বারলা। সদ্য তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। এখানেই যাঁরা উন্নয়ন দেখতে পান না তাঁদেরকে বার্তা দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিল্পপতিদের কাছ থেকে মিউটেশন ফি নেওয়া হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি চললেও ট্যাক্স নেওয়া হয়। এগুলি আর নেওয়া যাবে না। আমরা এসব বরদাস্ত করব না। যেকোনও একটা ট্যাক্স রাখতে হবে, দুটো ট্যাক্স একসঙ্গে হতে পারে না। আর কত টাকা চাই?’আরও পড়ুন: ‘ওরা উন্নয়ন দেখতে পায় না’, কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিলেন মমতাঅন্যদিকে আজ উত্তরবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের দ্বিতীয় দিন। আর সেখানে ডাবগ্রাম–ফুলবাড়িতে প্রশাসনিক সভা থেকে নানা তথ্য তুলে ধরেন তিনি। এই মঞ্চ থেকে বিরোধীদের তুলোধনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘দাঙ্গা হলে ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের। জীবন–মরণের সামনে পড়েন তাঁরা। আমি দাঙ্গা চাই না, শান্তি চাই। দাঙ্গা হলে রাজনীতির লোকেরা রাজনীতি করার সুযোগ পাবে। আমি দাঙ্গা চাই না। কেন্দ্রের কাছ থেকে আমরা ১ লক্ষ ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাই। সেই টাকা তো দেয় না, উল্টে জিএসটির নাম করে সব নিয়ে যায়। সেই টাকাটাও আমরা ঠিকমতো পাই না। আবার শিল্পপতিদের কাছ থেকে কর বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে।’এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরও যে উন্নয়ন চলছে সারা রাজ্যে সেটা দেখতে বলেছেন তিনি। বিজেপি যে কোনও কাজ করেনি তাও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘আসতে আসতে সব কাজ করে দেবো। আমি ম্যাজিশিয়ান নই। বিজেপির এক নেতা ভোটের আগে বলেছিলেন চা–বাগান খুলে দেওয়া হবে। একটাও খুলতে পারেনি। আমরা খুলে দিয়েছি।’ এভাবেই নাম না করে বিজেপিকে ঠুকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুর্শিদাবাদ নিয়ে যে অশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল এবং তাতে বিজেপির ভূমিকা এভাবেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি।