২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের মামলায় বৃহস্পতিবার প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তারপরের দিনই শিক্ষা সংক্রান্ত আরও একটি মামলায় বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, শিক্ষামিত্ররাও ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। এর আগে এই রায় দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায় বহাল থাকল ডিভিশন বেঞ্চে। একইসঙ্গে শিক্ষামিত্রদের বকেয়া মিটিয়ে কাজে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: কার কাছে যে টাকা ফেরত চাইব? আচমকা বেকার ‘সৎ রঞ্জনে’র মাস্টারপাড়া!
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের আর্জি খারিজ করে এই নির্দেশ দিয়েছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, সাধারণ শিক্ষকদের মতো শিক্ষামিত্ররা ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত চাকরি করার অধিকার রয়েছে। মূলত, স্কুলছুট এবং পিছিয়ে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে ফেরানোর দায়িত্ব রয়েছে শিক্ষামিত্রদের কাঁধে। এই উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় তৎকালীন বাম সরকার শিক্ষামিত্র নিয়োগ করেছিল।
এই কাজের জন্য তাঁদের প্রতি মাসে ২৬০০ টাকা করে বেতন দেওয়া হত। পরে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসলে ২০১৩ সালে শিক্ষামিত্রদের পদ পরিবর্তন করেছে স্বেচ্ছাসেবক বলে ঘোষণা করা হয়। আর তার পরের বছর ২০১৪ সালে তাঁদের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় ৬০ বছরের আগেই তাঁদের চাকরি থেকে অবসর নিতে হবে।
তা নিয়ে সরব হন শিক্ষামিত্ররা। পরে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেই মামলায় ২০২৩ সালে ২৬ এপ্রিল বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তকে খারিজ করে জানিয়ে দেন। শিক্ষামিত্ররা ৬০ বছর বয়স অবধি কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেন। একইসঙ্গে তাঁদের বকেয়া মিটিয়ে কাজে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার সেই মামলাতে রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।