কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, দ্রুত আরও অফিসার নয়াদিল্লি থেকে আসবেন তদন্ত প্রক্রিয়াকে ‘সুপার ফাস্ট’ করার জন্য। সেই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। চলতি মাসের শেষ থেকেই তা শুরু হয়ে যাবে। আগে আটজন অফিসার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছিলেন।
নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা এসেছেন সিবিআইয়ের ওই দুই শীর্ষ কর্তারা।
নয়াদিল্লি থেকে সিবিআইয়ের শীর্ষ কর্তারা নিজাম প্যালেসে এসে হাজির হলেন। আর তারপরই নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তার আরও একটা কারণ হল, সিবিআই শীর্ষ কর্তারা এসে গোল টেবিল বৈঠকে বসে পড়েছেন। উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকে উঠে এসেছে নানা তদন্তের কথা। কিন্তু কোন তদন্তের বিষয়ে এত জরুরি বৈঠক তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। আজ, বুধবার নয়াদিল্লি থেকে এলেন অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ডিসি জৈন এবং জয়েন্ট ডিরেক্টর ডিএস শুক্লা। তারপরই এখানকার অফিসারদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার গোল টেবিল বৈঠকে বসেন।
সূত্রের খবর, এদিকে নিজাম প্যালেসে জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিআইজি’দের সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি, গরুপাচার, কয়লা পাচারের মামলা নিয়ে জোরদার বৈঠক শুরু হয়েছে। এইসব তদন্তের গতি দিতেই নয়াদিল্লি থেকে কলকাতা এসেছেন সিবিআইয়ের ওই দুই শীর্ষ কর্তারা। দুপুরেই নিজাম প্যালেসে তাঁরা আসেন এবং জরুরি বৈঠক ডাকেন। সেই বৈঠকে সমস্ত মামলার তদন্তকারী অফিসাররাও উপস্থিত রয়েছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে ভর্ৎসনা করেছিলেন। তাই প্রত্যেকটি তদন্তে গতি বাড়াতেই এমন বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআইয়ের একটি সূত্রে খবর, সাতজন অফিসারকে নিয়ে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হয়েছে। যাতে তদন্তে গতি বাড়ে। এই বিশেষ টাস্ক ফোর্সে ১ জন এসপি এবং ৩ জন ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন। একইসঙ্গে ২ জন ইন্সপেক্টর ও ১ জন সাব ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার অফিসার রয়েছেন। এদের দিয়ে আরও তদন্ত প্রক্রিয়া বাড়ানো হবে। এই টাস্ক ফোর্সের অফিসারদের নিজাম প্যালেসের অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চ বা দুর্নীতি দমন শাখার অফিসে যোগ দিতে বলা হয়েছে। আগামী দু’মাস তাঁদের নিজাম প্যালেসের অফিসে কাজ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।