একই শিফটে দুজন স্টেশন মাস্টার ডিউটিতে থাকলে একজন ট্রেন সিগনাল রেজিস্টারের ভার সামলাতেন এবং অন্যজন প্যানেলের ভার সামলাতেন। তবে এবার থেকে আর এরকম হবে না। এবার একই শিফটে দুজন স্টেশন মাস্টার ডিউটিতে থাকলে তার মধ্যে একজনকে কেবিন ছেড়ে পয়েন্ট ক্ল্যাপিংয়ের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা নজরদারি চালাতে হবে।
স্টেশন মাস্টারদের নজরদারি নির্দেশ। প্রতীকী ছবি
করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এখনও এই ঘটনার তদন্ত চলছে। ভবিষ্যতে সেরকম দুর্ঘটনা এড়াতে স্টেশন মাস্টারদের ডিউটিতে বড়সড় পরিবর্তন আনা হল। তাঁদের সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ জারি করল পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশন। স্টেশন মাস্টারদের দাঁড়িয়ে থেকে পয়েন্টে নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, একই শিফটে দু'জন স্টেশন মাস্টার ডিউটিতে থাকলে একজন ট্রেন সিগনাল রেজিস্টারের ভার সামলাতেন এবং অন্যজন প্যানেলের ভার সামলাতেন। তবে এবার থেকে আর এরকম হবে না। এবার একই শিফটে দু'জন স্টেশন মাস্টার ডিউটিতে থাকলে, তাঁদের মধ্যে একজনকে কেবিন ছেড়ে পয়েন্ট ক্ল্যাপিংয়ের কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা, তা দেখতে হবে। লাইন, পয়েন্ট এবং অন্যান্য যন্ত্র ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখতে হবে। ট্রেন এক লাইন থেকে অনলাইনে যাওয়ার সময় পয়েন্ট ক্ল্যাম্পিংগুলি ঠিক মত রয়েছে কিনা, সেগুলিও খতিয়ে দেখতে হবে। আর এই নির্দেশ উপেক্ষা করলেই গুরুতর ত্রুটি হিসেবে বিবেচনা করা হবে, সেক্ষেত্রে পদক্ষেপ করতে পারে রেল।
যদিও রেল কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে এ ধরনের সর্তকতা অবলম্বন করার কর্মপদ্ধতি আগেই বলা রয়েছে, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র। রেলের এই সিদ্ধান্তকে কর্মীদের একাংশ স্বাগত জানালেও অনেকেই এর সমালোচনা করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, রেলে লক্ষ-লক্ষ পদ খালি রয়েছে। স্টেশন মাস্টারদের উপরেও প্রচুর চাপ রয়েছে। তাছাড়া যে সংখ্যক স্টেশন মাস্টার থাকা প্রয়োজন, তার থেকে অনেক কম স্টেশন মাস্টার রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্টেশন মাস্টারদের উপর চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছে কর্মীদের একাংশ।