তিনদিনের মধ্যে রাস্তা মেরামত করতে হবে, এবার সময়সীমা বেঁধে দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম

হাতে আর ১২ দিন বাকি। তারপরই রাজ্যজুড়ে দুর্গাপুজো পালিত হবে। এখন থেকেই রাস্তায় ব্যাপক ভিড় দেখা যাচ্ছে। কেনাকাটার ভিড়েই যদি বাস–ট্রাম–অটো চলতে গিয়ে থমকে যায় তাহলে দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে কেমন পরিস্থিতি হবে! তার মধ্যে নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে রাস্তাঘাট ভেঙেচুড়ে গিয়েছে। সামনেই দুর্গাপুজো। তাই এই পরিস্থিতি কাটাতে কলকাতা পুরসভা রাস্তা মেরামতে ডেডলাইন পরিবর্তন করল। এবার তিনদিনের মধ্যে রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে নির্দেশ দিল কলকাতা পুরসভা। এই তিনদিন হল—মহালয়া থেকে তৃতীয়া।নিম্নচাপের ফলে কলকাতা–সহ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে রাস্তাঘাটের। তাই আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে রাস্তাঘাট মেরামত করে ফেলতে বলা হয়েছে। যেহেতু বৃষ্টির জন্য কাজ দেরি হয়েছে। তাই বাড়তি তিনদিন সময় দেওয়া হল। পুরকর্মীরা এই সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে চাইছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, মেয়র ফিরহাদ হাকিম দ্রুত রাস্তা মেরামতের কাজ ১৭ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এখন বৃষ্টি হচ্ছে না। তাই কাজ করা সহজ। আবার যদি বৃষ্টি নেমে যায় তাহলে এই মেরামতের কাজ বিঘ্নিত হবে। এদিকে দ্রুত রাস্তা মেরামত করতে তৎপর হয়েছেন পুরসভার কর্মীরা। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা আশা করছি ১০ দিন শুকনো আবহাওয়া পেলে এই ভাঙা রাস্তা মেরামত করা সম্ভব হবে। কারণ বৃষ্টিতে রাস্তা মেরামতের কাজ করা যায় না।’ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এই মেরামতের কাজ চলবে। মেয়র পুরসভার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, রাতে আগুন জ্বালিয়ে তেল দিয়ে আগামী ১০ দিনের মধ্যে রাস্তা মেরামতের কাজ করতে হবে। দুর্গাপুজোর আগে এই ভাঙা রাস্তা মেরামত করার নির্দেশ দিয়েছেন ইনি। কলকাতা পুরসভার এক কর্তা জানান, দ্রুত যে রাস্তাগুলি মেরামত করতে হবে তার একটা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা তা সমীক্ষা করে দেখে তারপর কাজ শুরু করা হবে।আরও পড়ুন: এবার অ্যাপ চালু করছে রেল পুলিশ, নবান্নের সঙ্গে চলছে কথাবার্তা, কারণ কী?আর কী বলছেন মেয়র? অন্যদিকে অতিরিক্ত সময় কাজ করে এই রাস্তা মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। ইতিমধ্যেই ইএম বাইপাস, ডায়মন্ডহারবার রোড এবং চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এলাকার রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমি পুরসভার কর্মীদের অনুরোধ করেছি, দুই শিফটে হট–মিক্স করে রাস্তা মেরামত করতে। হট–মিক্স নেই বলে যেন দেরি না হয় রাস্তা মেরামত করতে।’ মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড পর্যন্ত নানা জায়গায় রাস্তা ভেঙে পড়েছে। সেগুলি মেরামত করতে বলা হয়েছে।