দিল্লি থেকে কলকাতায় আসছিল বিমানটি। পথেই লেজার লাইটের ঝলকানি। ককপিটে বসে থাকা পাইলটের চোখও কার্যত ধাঁধিয়ে যায়। বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেল ইন্ডিগোর বিমান।সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দিল্লি থেকে কলকাতার দিকে আসছিল ইন্ডিগোর বিমান। সিক্স ই ২০৫৭ বিমান। আসার পথেই লেজার লাইটেল আলো। এর জেরে মূল যে সমস্যা হয় সেটা হল দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে যায়।
তবে কলকাতাগামী বিমানটি অল্পের জন্য বিরাট বিপদের হাত থেকে রক্ষা পায়। মূলত দিক নির্ণয়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হয় পাইলটের। সূত্রের খবর বিমানটি সেই সময় কলকাতার আকাশে ছিল। বিমানবন্দর থেকে তার দূরত্ব ছিল ২০ নটিক্যাল মাইল। সেই সময় উত্তর পূর্ব দিক থেকে আসে লেজার লাইট। আর সেই লেজার লাইটের আলো স্বাভাবিকভাবেই অত্য়ন্ত তীক্ষ্ণ হয়। সেই লাইল এসে পড়ে ককপিটে। তার জেরে পাইলটের চোখ ধাঁধিয়ে যায়।
এদিকে পাইলটের হাতে থাকে বিমানের রাশ। এদিকে পাইলটের চোখ যদি ধাঁধিয়ে যায় তাহলে বড় বিপদ হতে পারে। সেকারণে এই লেজার লাইট ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। সেকারণে এনিয়ে বার বার সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এর আগে বিদেশে এই ধরনের সমস্যার কথা জানা গিয়েছিল।
এদিকে এর আগে চিনের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিল অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা দফতর। তাদের দাবি ছিল চিনের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর জেরে বিমানের এক ক্রু মেম্বারের অবস্থা যথেষ্ট গুরুতর। চিনের এই অপেশাদারিত্বের তীব্র সমালোচনা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা দফতরের দাবি, একটি প্লেন উত্তরের আকাশসীমা ধরে যাচ্ছিল, সেই সময় লেজারের বিচ্ছুরণ দেখা যায়। এরপর বোঝা যায় পিপলস লিবারেশন আর্মির জাহাজ থেকে এই লেজার বিচ্ছুরণ করা হয়েছে।
কী হতে পারে এই লেজার রশ্মি যদি পাইলটের চোখে পড়ে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের লেসার রশ্মির বিচ্ছুরণের জেরে পাইলট সাময়িকভাবে অন্ধ হয়ে যেতে পারেন। এর জেরে বিমানের সুরক্ষা নিয়েও বড় প্রশ্ন উঠে যায়। বছর দুয়েক আগে আমেরিকা অভিযোগ করেছিল প্রশান্ত মহাসাগরে থাকা চিনা যুদ্ধ জাহাজ থেকে একই ভাবে মার্কিন প্লেন লক্ষ্য় করে লেজার বিচ্ছুরণ করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার হেলিকপ্টার চালক এই ধরনের লেজার রশ্মির মুখে পড়েছিলেন। ২০১৮ সালে মার্কিন সরকার চিন সরকারকে এনিয়ে নালিশও জানিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও নিজেকে সংশোধন করেনি চিন। অভিযোগ এমনটাই।