সদ্য সৌমিত্র বিশ্বাসের ভাই শান্তনু বিশ্বাস তাঁর দাদার মৃত্যুর কেস ফাইল খোলার আর্জি জানান। সেই আর্জি পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল
আরজি কর-এ সদ্য তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুতে প্রতিবাদে সরব রাজ্যের নানান মহল। বিগত কয়েক মাস ধরে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তাঁদের পাশে থেকে আন্দোলনের সামনের সারিতে উঠে এসেছেন বেশ কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকও। তাঁদেরই মধ্যে এক সিনিয়র চিকিৎসকের নাম ঘিরে নানান চর্চা শুরু হয়েছে আরজি কর কলেজে ঘটে যাওয়া ২৩ বছর আগের এক ঘটনার সঙ্গে। ২৩ বছর আগে আরজি করের তৎকালীন পড়ুয়া সৌমিত্র বিশ্বাসের রহস্যমৃত্যু নিয়ে তাঁর পরিবারের আজও নানান অভিযোগ রয়েছে। সেই সৌমিত্রর মৃত্যুর কেস ফাইল খুলছে রাজ্য।
সদ্য সৌমিত্র বিশ্বাসের ভাই শান্তনু বিশ্বাস তাঁর দাদার মৃত্যুর কেস ফাইল খোলার আর্জি জানান। সেই আর্জি পেয়ে নড়েচড়ে বসে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, অভিযোগ, বাম আমলে গত ২৩ বছর আগে, আরজি কর-এর হস্টেলে পর্নোগ্রাফির শুটিং চলত। সৌমিত্র বিশ্বাসের পরিবারের দাবি, সেই সমস্ত কিছুর প্রতিবাদ করতেই সৌমিত্রকে খুন করা হয়েছিল। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ২৩ টা বছর। বিশ্বাস পরিবারের অভিযোগ, সেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে। সেই মামলা নতুন করে খোলা নিয়ে তাঁরা রাজ্য সরকারের কাছে আর্জি জানাতেই এগিয়ে আসেন ব্যাপাকপুরের পার্থ ভৌমিক, বলেন,' আমি নিজে ও তৃণমূল কংগ্রসের সব কর্মী আপনাদের পাশে আছি। আপনার ভাইয়ের খুনের ন্যায় বিচারের জন্য আমরা সর্বোতভাবে চেষ্টা করব।' তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে এই মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা হবে।