আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ-এর ম্যাচে নেপাল-এর বিরুদ্ধে ড্রেসিং রুমের পরামর্শে ডিআরএস নিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটার তানজিম হাসান শাকিব, যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। আইসিসি-র শাস্তির মুখে পড়তে পারেন বাংলাদেশ দলের এই ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ দলের দুই ক্রিকেটার মাহমুদ্দুলাহ এবং তানজিম হাসান সাকিব, আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ-এ । ছবি- এএফপি
টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ার প্রতিদ্বন্দীদের বিরুদ্ধে এক সময় বেশ চাপে পড়ে গেছিল বঙ্গ ব্রিগেড। পরপর উইকেট হারিয়ে কোনঠাসা অবস্থা হয়ে যায় বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত থেকে লিটন দাস, বাংলাদেশের ব্যাটাররা তেমন নজর কাড়তে পারেননি ছোট দলের বিপক্ষেও। তুলনায় যথেষ্ট লড়াই দেয় নেপাল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অভিজ্ঞতার কাছেই হেরে যেতে হয় তাঁদের। শেষ উইকেটে তাসকিন আহমেদরা ১৮ রান তোলেন জুটিতে, সেই রানই কার্যত ম্যাচের নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়। কারণ ২১ রানে নেপাল হারলেও, সেই ১৮ রান যদি তাঁরা না দিতেন তাহলে মানসিক দিক থেকে আরও চাপমুক্ত থাকতে পারতেন তাঁরা। এরই মধ্যে বিতর্ক তৈরি করল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।
আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে নেপালের বিরুদ্ধে চতুর্দশ ওভারে সন্দীপ লামিছানের বলে আউট হন বাংলাদেশের তানজিম হাসান শাকিব। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত দেখে মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসছিলেন এই ক্রিকেটার। তখনই নন স্ট্রাইকার এন্ডে থাকা জাকের আলি ড্রেসিং রুমের দিকে উদ্দেশ্য করে পরামর্শ চান, যে ডিআরএস নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে বলে নেওয়া ভালো, ক্রিকেটের স্পিরিট এবং আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী ব্যাটাররা নন স্ট্রাইকারের থেকে ডিআরএস নিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন, কিন্তু ডাগ আউট বা ড্রেসিং রুম থেকে ডিআরএসের পরামর্শ দেওয়া যায় না। যদিও আম্পায়ার এক্ষেত্রে কোনও ব্যবস্থা নেননি, বরং তানজিম শাকিবের করা ডিআরএসের আবেদন গ্রহণ করেন।
বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার অবশ্য সেই নিয়ম বা স্পিরিটকে তোয়াক্কা না করেই ড্রেসিং রুমের উপদেশ মেনে ডিআরএস নেন। জাকের আলি এক্ষেত্রে ইশারা করে শাকিবকে বলেন ডিআরএস নিতে। এরপর দেখা যায় বল স্টাম্পে লাগছে না। তারপরই আম্পায়াররা সিদ্ধান্ত বদল করেন। যদিও এরপর উইকেটে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ি ছিলেন না শাকিব, কারণ পরের বলেই তাঁকে আউট করে সাজঘরে ফেরান সেই সন্দীপ লামিছানে।
বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটার পেতে পারেন বড় শাস্তি। আইসিসির কাছে ম্যাচের রিপোর্ট পাঠাবেন ম্যাচ রেফারি। সেখানে যদি এই ঘটনার কথা উল্লেখ থাকে, সেক্ষেত্রে বিশ্বক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার নিয়ম ভাঙার জন্য শাস্তির মুখে পড়তে পারেন দুই ক্রিকেটারই। যদিও এখনও আইসিসির তরফ থেকে এবিষয় কিছুই জানানো হয়নি। বাংলাদেশের সুপার এইট স্টেজের পরের ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জুনের ২০ তারিখ।