বিদেশ সফরে গিয়ে আয়োজক বোর্ডের বেছে দেওয়া দলের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামার রেওয়াজ ভারতের দীর্ঘদিনের। সব দলই এধরণের ট্যুর ম্যাচে গা ঘামিয়ে নেয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঠাসা ক্রীড়াসূচির জন্যই ভারতীয় দল বিদেশ সফরে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পথে হাঁটে না। বরং নিজেদের মধ্যেই আন্তঃস্কোয়াড অনুশীলন ম্যাচে মাঠে নামতে দেখা যায় টিম ইন্ডিয়াকে।
এক্ষেত্রে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের যুক্তি এই যে, প্রস্তুতি ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের মান মোটেও ভালো হয় না। তাছাড়া সেই ধরণের পিচে ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয় না, যে ধরণের পিচে আসলে টেস্ট সিরিজ খেলা হয়। তাই এরকম অনুশীলন ম্যাচ খেলে কোনও লাভ নেই বলেই ধারণা টিম ম্যানেজমেন্টের।
অন্যদিকে সুনীল গাভাসকরের মতো প্রাক্তন তারকা বরাবর দাবি করে আসেন যে, বিদেশ সফরে গিয়ে অবশ্যই প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা উচিত ভারতীয় দলের। কেননা নিজেদের বোলারদের বিরুদ্ধে মাঠে নামলে চোট পাওয়ার ভয়ে সেরা ছন্দের বোলিংয়ের মোকাবিলা করা সম্ভব হয় না।
এবছর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে ভারতীয়-এ দলের বিরুদ্ধে একটি ৩ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রোহিত শর্মাদের। যদিও শেষমেশ সেই অনুশীলন ম্যাচ বাতিল হতে পরে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের অনুরোধে। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের নেতৃত্বাধীন এ-দলের বিরুদ্ধে প্র্যাক্টিস ম্যাচে মাঠে নামার থেকে নেটে বাড়তি সময় কাটানো শ্রেয় বলে মনে করছে।
কেননা পারথের সেন্টার পিচের বাউন্সের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াই হবে ভারতীয় দলের সামনে আসল চ্যালেঞ্জ। প্র্যাক্টিস ম্যাচে কোনও ব্যাটার তাড়াতাড়ি আউট হয়ে বসলে তিনি ওয়াকার সেন্ট্রার স্ট্রিপে বেশিক্ষণ ব্যাট করার সুযোগ পাবেন না। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী হেড কোচ গৌতম গম্ভীর ও কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার তাই প্র্যাক্টিস ম্যাচ খেলার বিরোধী।
উল্লেখ্য, ভারতীয়-এ দল এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়া-এ দলের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্ট খেলতে ব্যস্ত রয়েছে। ৭ নভেম্বর থেকে মেলবোর্নে খেলা হবে সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ বেসরকারি টেস্টে। শেষে ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পারথে রোহিত শর্মাদের বিরুদ্ধে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামার কথা রুতুরাজের নেতৃত্বাধীন ভারতীয়-এ দলের।
আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া বর্ডার-গাভাসকর ট্রফি। সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলা হবে পারথে। ৩ জানুয়ারি থেকে সিডনিতে শুরু হবে সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট ম্যাচ।