ভারতের সিম-বোলার যশ ঠাকুর রবিবারের আইপিএলের ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ম্যাচ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাই প্রথমে ব্যাট করে ১৬৩ রান করলেও, ৩৩ রানে জয় ছিনিয়ে নিতে পেরেছে লখনউ। যশ একাই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছে বিধ্বস্ত করেছে গুজরাটকে। তাঁর ব্যতিক্রমী পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। র পুরস্কার জিতেছিলেন।
তাঁর অসাধারণ কৃতিত্বের প্রতিফলন করে, ঠাকুর তাঁর এই সাফল্যের রহস্যের পিছনে নিজের সূক্ষ্ম পরিকল্পনা এবং দলের স্ট্র্যাটেজির কথাই বলেছেন। ম্যাচের পর যশ ঠাকুর বলেছেন, ‘এই পাঁচ উইকেট নিয়ে এবং ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়ে আমি খুশি। গিলকে আউট করার জন্য আমার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল, আমি আমার পরিকল্পনায় স্থির ছিলাম। কেএল রাহুল আমাকে তা করার পরামর্শ দিয়েছিল এবং যা ফলপ্রসূ হয়েছে।’
সতীর্থ মায়াঙ্ক যাদবের দুর্ভাগ্যজনক চোটের পরে দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছিল যশ ঠাকুরের। অধিনায়ক কেএল রাহুল তাঁকে সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছিল। যেটা কাজে লাগিয়েছেন ঠাকুরও।
আরও পড়ুন: ওরা বড় নোংরা- রোহিত টিম ইন্ডিয়ার দুই তারকার সঙ্গে রুম শেয়ার করতে একদমই রাজি নন
যশ ঠাকুর যোগ করেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত মায়াঙ্ক যাদবের চোট হয়ে যায়। তাই কেএল বলেছিল যে, এটি আমার দিন এবং আমাকে এই সুযোগের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করতে। আমরা আইপিএলের ইতিহাসে জিটি-র বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ জিতেছি। এতে খুব খুশি। সত্যি কথা বলতে, সব উইকেটগুলির মধ্যে গিলেরটা সব থেকে স্মরণীয়।’
আরও পড়ুন: ২০০+ হতে পারত- স্লো সেঞ্চুরির জন্য বিপক্ষ দল রাজস্থানও বাজে ভাবে ট্রোল করল কোহলিকে
যশ ঠাকুরের ব্যতিক্রমী বোলিং প্রদর্শন, ক্রুনাল পান্ডিয়া সহ অন্যান্য বোলারদের দৃঢ় পারফরম্যান্স- সব মিলিয়ে এলএসজি তাদের ১৬৩ রান সফল ভাবে রক্ষা করেছে। আইপিএলের মঞ্চে ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ম্য়াচ জেতা এমন কোনও কঠিন কাজ না। বিশেষ করে এই মরশুমেই যেখানে প্রায় একটি ম্য়াচে পাঁচশোর বেশি রান হচ্ছে। কিন্তু এই রানটা তাড়া করতে নেমেই ম্য়াচ ৩৩ রানে হেরে গেল গুজরাট টাইটান্স। ১৬০ প্লাস স্কোর বোর্ডে তুলে সেই রান ডিফেন্ড করে প্রায় ১৩ বার ম্য়াচ জিতল কে এল রাহুলের দল।
সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে প্রথম বার গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ। পাঁচ উইকেট নিয়ে ম্য়াচের নায়ক তরুণ যশ ঠাকুর। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদেই ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় শুভমন গিলের দল।