বরোদাকে টপকে যেতে পারল না বাংলা। বিজয় হাজারে ট্রফির নকআউট আগে নিশ্চিত হলেও রবিবার সুযোগ ছিল গ্রুপ ই-র পয়েন্ট তালিকায় বরোদাকে টপকে যাওয়ার। কিন্তু মহম্মদ শামি, সুদিপ ঘরামিদের দল হেরে গেল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। ১০টি দলের মধ্যে মধ্যপ্রদেশ জায়গা করে নিতে পারল না নকআউটে, তবে বাংলাকেও কোয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি যেতে দিল না তাঁরা। প্রিকোয়ার্টারে খেলবে শামিরা।
আরও পড়ুন-ISL - ১১তারিখ ডার্বি হচ্ছে না কলকাতায়! সরতে পারে ভুবনেশ্বরে! FSDLর দিকেই তাকিয়ে মোহনবাগান
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলা দল সাত উইকেটে করে ২৬৯ রান। সুদীপ ঘরামি ৯৯ রানে আউট হন দুর্ভাগ্যজনকভাবে। আরেক ওপেনার অভিষেক পোড়েল রান পাননি। তবে সুদীপ ঘরামির সঙ্গেই জুটি বেঁধে খেলে ৪৯ রান করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায় তবে তিনি রান আউট হয়ে যান। এরপর বাংলার ব্যাটাররা তেমন কেউই বড় রান পাননি, মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়।
আরও পড়ুন-‘আরও গোল করতে পারতাম’, ৩ গোলে জিতেও বলছেন মোলিনা! লিস্টনের ভাবনায় এখন শুধুই ডার্বি
ব্যাট হাতে লড়েন শামি-
ফলে চাপ পড়ে গেছিল টেলেন্ডারদের ওপরেই। অনুষ্টুপ মজুমদার এবং করণ লাল করেন ১৫ রান করে। সুমন্ত গুপ্ত ৩ এবং প্রদীপ্ত প্রামানিক ৫ রান করেন। তবে শেদিকে ৩৪ বলে মহম্মদ শামি ৪২ রান এবং কৌশিক মাইতি ২১ বলে ২০ রান করে বাংলাকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। তবে সেই রান যে শক্তিশালী মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তা বোঝাই গেছিল।
আরও পড়ুন-পিঠে খিঁচ মনে হচ্ছে না! বুমরাহর চোট নিয়ে ভারতীয় শিবিরের অন্দরের খবরে অবিশ্বাস পন্টিংয়ের
প্রথম বলেই উইকেট শামির-
বল হাতেও এরপর মধ্যপ্রদেশের ইনিংসের শুরুতেই ধাক্কা দেন মহম্মদ শামি। ইনিংসের প্রথম বলেই তিনি আউট করেন হর্ষ গাওলিকে। এরপর হিমাংশু মন্ত্রীকে ০ রানে ফেরান কনিষ্ক শেঠ। তবে শুভম শর্মার সঙ্গে অধিনায়ক রজত পতিদারের শতরানটাই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয় দুই দলের মধ্যে। বাংলার সুদীপ ঘরামির মতোই মধ্যপ্রদেশের শুভম শর্মাও ৯৯ রানের মাথায় আউট হন। তাঁকে সায়ন ঘোষ আউট করেন।
আরও পড়ুন-BGTতে ব্যর্থ হলেও এখনই অবসর নয় বিরাটের! তবে টেস্ট দলে ঢুকতে দিতে হবে লাল বলে পরীক্ষা!
মধ্যপ্রদেশকে জেতালেন রজত পতিদার-
যদিও ম্যাচের শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে থেকে মধ্যপ্রদেশকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তাঁদের অধিনায়ক রজত পতিদার। শেষ কয়েকমাস ধরে সব ধরণের ক্রিকেটেই তিনি সফল। এই ম্যাচে বাংলার বিরুদ্ধে করলেন ১৩৭ বলে অপরাজিত ১৩২ রান। বেঙ্কটেশ আইয়ার নেমে ১ বলে খেলে চার রান করেন। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় মধ্যপ্রদেশ শিবির।