ইমরান খান। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক এবং সেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও বটে। খেলার মাঠ হোক, কি রাজনীতি কিংবা ব্যক্তিগত জীবন। সব সময় প্রচার মাধ্যমের আলোয় থেকেছেন তিনি। তবে আর যাই হোক পাকিস্তানের ক্রিকেটের ইতিহাসে ইমরান খানকে অন্যতম সফল অলরাউন্ডার হিসেবেই ধরা হয়। পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জেতানো একমাত্র অধিনায়ক তিনি। একজন জোরে বোলার এবং মিডিল অর্ডার ব্যাটার হিসাবে পাক দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। তবে ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করে। সেখানে পাকিস্তানের হয়ে খেলা প্রায় প্রত্যেক ক্রিকেটারের ছবি ছিল। কিন্তু বিশ্বকাপজয়ী পাক-অধিনায়ক ইমরানের ছবি সেখানে দেখা যায়নি। তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট দল ইমরান খানের নেতৃত্বে যথেষ্ট সক্রিয় ছিল। ইমরান ক্রিকেটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এবং দৃঢ়তা প্রবেশ করাতে পেরেছিলেন। যার পরিপেক্ষিতেই ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে পিছিয়ে পড়েও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। নিজেদের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে পিসিবি টুইটারে সব ক্রিকেটারদের সম্মান জানিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে। সেখানে পাকিস্তানকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়ককে দেখতে পাওয়া যায়নি। ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ইমরান রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। তিনি পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই নামে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেন। রাজনীতির জীবনেও তিনি সফল হন। পাকিস্তানের সব্বোর্চ আসনে আসীন হন তিনি।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ২২তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এখানেও ছন্দপতন। ২০২২ সালে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। অনাস্থা ভোটের পর তাকে পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে প্রায় ১৫০টি আইনি মামলা দায়ের করা হয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন তিনি। তবে কিছুদিন আগে একটি দুর্নীতি মামলায় তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই আগামী পাঁচ বছর তিনি কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হলেও পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। সেই দিক থেকে তাকে শ্রদ্ধা না জানানোয় হতাশা প্রকাশ করেছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এই পোস্টটি রাজনৈতিক প্রভাব যুক্ত বলে মনে করছে তারা।