আইসিসির বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুললেন বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। একাধিক বিষয় নিয়েই পরিকাঠামোগত দিক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রোহিতদের হেডস্যার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে একটি ওয়ার্ম আপ ম্যাচে খেলেছে ভারত, জিতেছে রোহিতরা। কিন্তু সমস্যা একটি জায়গায়, তা হল পরিকাঠামো। নিউ ইয়র্কে যে মাঠে ভারতের খেলা হবে, সেখানকার পিচ দেখে চক্ষু চড়কগাছ ভারতীয় দলের। সাউফ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের অবস্থা দেখে চিন্তায় পড়েছে ভারতীয় দল। কারণ এই মাঠে আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পর পাকিস্তান ম্যাচও রয়েছে। ফলে পিচ এবং আউট ফিল্ড যদি এরকম থাকে, তাহলে তো চিন্তা বাড়বেই। তবে রাহুল দ্রাবিড় আরও বিরক্ত প্র্যাকটিসের মাঠ নিয়ে, সেই নিয়েই এবার মুখ খুললেন টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ।
আরও পড়ুন-ভিডিয়ো- ফিল গুড মেজাজে টিম ইন্ডিয়া…ক্রিকেট,ফুটবল ছেড়ে অন্য খেলায় মাতলেন পন্ত-সূর্যকুমার
শ্রীলঙ্কা বনাম সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৫.৪ ওভারে ওঠে মাত্র ১৫৭ রান। রান রেট ছিল ৪.৪। শ্রীলঙ্কা তো টি২০ বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বনিম্ন রান করেছে। উইকেটে ছিল উদঘট বাউন্স, সঙ্গে আউট ফিল্ডও অত্যন্ত স্লো। বোলারদের স্বর্গ বলা যায়। ড্রপ ইন পিচ হলেও, মোটেই তা স্পোর্টিং নয়, অন্তত প্রথম ম্যাচের নিরিখে তা বলাই যায়। এই পিচে নামার আগে তাই যথেষ্টই চিন্তায় টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ রাহুল দ্রাবিড়। এছাড়াও প্র্যাকটিসের মাঠে নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।
আরও পড়ুন-প্রথম বছরই সুপারহিট…MLC-র ৪৫জন খেলোয়াড় মাঠে নামছেন টি২০ বিশ্বকাপে
আইসিসির মেগা ইভেন্টের পরিকাঠামো নিয়ে আগেই বড় দলগুলি প্রশ্ন তুলেছিলেন। এরপর রাহুল দ্রাবিড়ও প্রশ্ন তুললেন আম জনতার সামনে ভারতীয় দলকে অনুশীলন করতে হওয়ায়। রাহুল দ্রাবিড় বলছেন, ‘পার্কে অনুশীলন করার বিষয়টা আমাদের কাছে অবাক করার মতো ছিল। সাধারণত আইসিসির বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে আমরা বড় স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে থাকি, কিন্তু এখানে তো পাবলিক পার্কে ট্রেনিং করতে হচ্ছে দলকে। যদিও দলের ক্রিকেটাররা পেশাদার হওয়ায়, নিজেদের প্রস্তুতি ঠিকঠাক চলছে। এই দেশে ক্রিকেটের প্রতি তেমন মানুষের উৎসাহ নেই, তবে আশা করব দ্রুত উৎসাহ বাড়বে এবং মাঠও ভরবে ’।
আরও পড়ুুন- ভিডিয়ো-অবশেষে ভারতের কোচ হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ গম্ভীরের…বিসিসিআই শুনতে পাচ্ছে কি?
আইসিসির তরফে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপের আয়োজনের কথা যথেষ্ট আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই মতো ড্রপ ইন উইকেট আনা হয়। কিন্তু উইকেট থেকে আউট ফিল্ড সবই যদি এত মধ্যমানের হয়, তাহলে তো আইসিসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। ফিরোজ শাহ কোটলাসহ বহু স্টেডিয়ামকেই অতীতে আইসিসির তরফে খারাপ রেটিং দেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্কে যদি এমন পিচই পরের ম্যাচগুলোয় দেখা যায়, তাহলে আইসিসি কি করবে? ক্রিকেটের প্রসার ঘটাতে গিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপের গুরুত্ব কী হ্রাস করে ফেললেন না আয়োজকরা, প্রশ্ন কিন্তু উঠছেই।