সিপিএমকে ভোট দেওয়া আর চোর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া একই ব্যাপার। পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে বেরিয়ে এমনই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আশ্বাস, বিজেপি পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় এলে গ্রামসভার সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সরকারি প্রকল্প বিলি হবে।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আপনারা বিজেপিকে ভোট দিন, কারণ আপনাদের নেতা সীতারাম ইয়েচুরি পটনাতে বসে মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ফিশ ফ্রাই আর বিরিয়ানি খেয়েছেন। আপনাদের ভোট দেওয়া মানে চোর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের বি-টিম হচ্ছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। দিল্লিতে কংগ্রেসের বি-টিম হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস আর সিপিএম। কেরালায় আবার সিপিএম আর কংগ্রেস মুখোমুখি। একমাত্র নো সেটিং অপোজিশন হল বিজেপি। ওদের সূর্য মিশ্র ছিল, একটা কথাও বলত না। আর আপনাদের বিজেপি আর আমি আছি। প্রত্যেকদিনই চুরি ধরছি’।
গত মাসে পটনায় বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিও। এর পরই সিপিএমের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সঙ্গে একমঞ্চে থাকার অভিযোগ ওঠে। সেটিংয়ের অভিযোগ তুলে সরব হয় বিজেপি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রীতিমতো বিবৃতি জারি করতে হয় সীতারাম ইয়েচুরিকেও।
শুভেন্দুর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'শুভেন্দু কিছুদিন আগেও তৃণমূল করতেন। এখন বিজেপিতে আছেন। খোলস বদলালে সাপের রূপ বদলায় কিন্তু বিষ কমে না। তাই শুভেন্দুবাবু তৃণমূলে যতটা বিষধর ছিলেন, বিজেপিতেও তাঁর ততটাই বিষ আছে। মানুষ সেটা জানে, বোঝে। এসব বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।