ভোট মানেই বাংলায় যে মানুষটাকে নিয়ে অন্যতম বড় আলোচনা হত তিনি আর কেউ নন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বিরোধীদের কখনও গুড়-বাতাসা, কখনও আবার নকুলদানা খাওয়ানোর কথা বলতেন। তিনি আজ তিহাড় জেলে। আর এবার তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র নিমপাতার টোটকার কথা উল্লেখ করলেন।
মঙ্গলবার একটি অডিও ক্লিপকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। তবে সেই অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। সেই অডিও ক্লিপে শোনা গিয়েছে যে ভোট করতে গিয়ে সেখানে মধু আর যেখানে নিমপাতা দেওয়ার সেখানে নিমপাতা দিতে হবে। এখানেই শেষ নয়। সেখানে বলতে শোনা গিয়েছে, এক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ প্রশাসনিক ব্যাকআপও পাওয়া যাবে।
আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ওই অডিও ক্লিপে বলতে শোনা গিয়েছে, যে করেই হোক বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটটা এবার করতে হবে। এবার কিন্তু যেখানে মধু দিয়ে, যেখানে নিমপাতা দিয়ে ভোটটা করতে হবে। সিম্পল কথা। প্রশাসনিক ব্যাকআপ হান্ড্রেড পার্সেন্ট আপনারা পাবেন। এই কথা আমি দিয়ে দিচ্ছি।
এদিকে মহুয়া মৈত্রের তরফে কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্য়মে সেভাবে উঠে আসেনি। তবে বিরোধীরা এনিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। মধু ও নিমপাতার কথা উল্লেখ করে ঠিক কী বলতে চাওয়া হয়েছে সেটা নিয়েও চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। বিরোধীদের অনেকেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। কারণ তাঁদের একাংশের মতে নিমপাতা অর্থে কার্যত সন্ত্রাসের টোটকা বলতে চেয়েছেন। এনিয়ে আতঙ্কিত অনেকেই। তবে কি নদিয়ায় এবারের ভোটে সন্ত্রাস হবে?
এদিকে ভোটের আগে একটা সময় ছিল যখন বীরভূমে তৃণমূল নেতা কেষ্ট মণ্ডলের মুখে শোনা যেত এই গুড়বাতাসা, চড়াম চড়াম ডাক। আর বর্তমানে মহুয়া মৈত্র নিমপাতার দাওয়াইয়ের কথা জানিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এনিয়ে নদিয়ার রাজনীতিতে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে। মধু ও নিমপাতার আড়ালে বাস্তবে ঠিক কোন সূত্র লুকোন আছে সেটা ভাবতেই শিউরে উঠছেন অনেকে। তবে কি ভয় পাইয়ে, চমকে দিয়ে ভোটে জিততে চাইছে তৃণমূল?