আজ, সোমবার চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। আর সকালেই রাস্তায় নেমে পড়েছেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী। রাত থেকেই তৎপরতা দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে বহরমপুরের এক সরকারি আবাসনে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন তিনি। মহিলাদের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন অধীর চৌধুরী। আর সোমবার নিজের কেন্দ্রে দাঁড়িয়েই তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন তিনি। আগে কখনও অধীর চৌধুরীকে এত সকালে রাস্তায় নামতে দেখা যায়নি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন জেতা কি তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জের? উঠছে প্রশ্ন।
তৃণমূল কংগ্রেস ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার জেরে চাপে পড়েছেন অধীর বলে মনে করা হচ্ছে। এবার তাঁর গলায় শোনা গেল আশঙ্কার সুর। সোমবার সকালে ভোটগ্রহণের শুরু থেকেই ময়দানে নামতে দেখা যায় অধীরকে। অধীর চৌধুরী বলেন, ‘আমার এলাকায় এখনও কোনও বড় গণ্ডগোল হয়নি। ছোটখাটো কিছু গণ্ডগোল হয়েছে নানা জায়গায়। আর বলির পাঠা করা হচ্ছে ইউসুফ পাঠানকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন আমাকে হারিয়ে দিতে। এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির মতোই বিভাজনের রাজনীতি করছে। আমার লড়াই মমতা–মোদীর বিরুদ্ধে। আমার লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। যে অভিযোগ আসছে সব জানানো হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। তৃণমূল কংগ্রেস কয়েকটি জায়গায় এজেন্টদের ঢুকতে দেয়নি।’
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে খুন, নাকাশিপাড়ায় বোমাবাজি, বিজেপির অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলা নিয়ে শুরু চতুর্থ দফার ভোট
যে অধীর চৌধুরী কদিন আগেও জিতবেন বলে দাবি করেছেল আজ তিনিই বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হারিয়ে দিতেই ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করেছে। তাঁর কথায়, ‘মুসলিম ভোট ভাগ করে এখানে আমাকে হারাতে চাইছে। এটা আগে কখনও এখানে হয়নি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলা হচ্ছে, আগে দাদাকে ভোট দিতে এখন ভাইকে দাও। হিন্দুদের এককাট্টা হতে বলা হচ্ছে। আসলে আমাকে হারিয়ে বিজেপির হাত শক্ত করতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটাই সেটিং। একজন ক্রিকেটারকে যদি সম্মান দিতেই চান তাহলে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারতেন। আমাকে হারানোর জন্য পাঠানো হয়েছে। এটা বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না।’
চতুর্থ দফায় ভোট শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের আটটি জায়গায়—বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান–দুর্গাপুর। ভোট গণনা হবে জুন মাসের ৪ তারিখে। চতুর্থ দফায় মোট ১০টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে চলছে ভোটগ্রহণ। অধীর চৌধুরীর হয়ে ভোটপ্রচারে দেখা যায়নি কোনও হেভিওয়েট নয়াদিল্লির কংগ্রেস নেতাকে। এমনকী আসেননি রাহুল গান্ধীও। এই বিষয়ে অধীর আজ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী আসতে চেয়েছিলেন ১১ তারিখ। কিন্তু আমি ১০ তারিখ আসতে বলেছিলাম। কারণ আমার ১১ তারিখ অনেক কর্মসূচি ছিল। আমার সঙ্গে কংগ্রেস নেতৃত্ব যোগাযোগ রাখছে। ন্যায় জোড়ো যাত্রায় এখান দিয়েই হেঁটেছিলেন রাহুল গান্ধী। আর কী চাই।’