আজ, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। গোটা দেশে উৎসবের মেজাজে ভোট চলছে। তার মধ্যে একটা বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী কে? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন নানা মুণির নানা মত। এমন আবহে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সামনে নিয়ে এলেন নাম। তবে সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। এই নামে এখনও সকলে সমর্থন জানায়নি। এবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হবে। সেখানে এই নাম নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। তবে কংগ্রেস সভাপতি জানান, আগামী ৪ জুন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা যদি রাহুল গান্ধীর নামের উপর ভোট দেন তাহলেই সেটা হবে।
এদিকে ইন্ডিয়া জোটের নভেম্বর মাসের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয় জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। যদিও মল্লিকার্জুন খাড়গে জানান, কংগ্রেস তাঁর ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তিনি বলেন, ‘কেন আমরা নিজেদের অযথা বিভ্রান্ত করছি এবং অন্যদেরও।’ এই জোট করা হয়েছে নির্বাচনে জেতার জন্য। যার পর জোটের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০০৪ এবং ২০০৯ সালেও সেটাই হয়েছিল। বিজেপি এবার ক্ষমতায় আসবে না বলে জানান খাড়গে। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হবে ৪ জুন।
আরও পড়ুন: ‘বাড়িতে সরবরাহ করা জল ২ তারিখ পর্যন্ত পান করা যাবে না’, নিষেধ করলেন শিলিগুড়ির মেয়র
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ পেতে হাতে আর সময় বলতে তিন দিন। তারপরই জনতার রায়ে পরিষ্কার হয়ে যাবে দেশের ক্ষমতায় মোদী সরকার আসবে নাকি ইন্ডিয়া জোট। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বেসরকারি সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি–কে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কংগ্রেসে আমাদের বড় নেতা রয়েছে রাহুল গান্ধী। সেখানে কেন আমার নাম নিয়ে আসা হচ্ছে? আমার দল আমার ভাগ্যের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি চাই আমাদের নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হোক। আমাদের এই তরুণ নেতা গোটা দেশকে চেনেন। রাহুল অত্যন্ত পরিশ্রম করেছে। তিনি বহু মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, তাহলে আমি প্রধানমন্ত্রী পদে রাহুল গান্ধীকে অগ্রাধিকার দেবো।’
এছাড়া কংগ্রেস সভাপতি এবার আমেথি এবং রায়বরেলি থেকে যথাক্রমে রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বলেছিলেন। যদিও তা হয়নি। তবে রাহুল গান্ধী তাঁর মায়ের আসন রায়বরেলি থেকে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মল্লিকার্জুন খাড়গের কথায়, ‘আমরা চেয়েছিলাম রাহুল গান্ধী গোটা দেশে অবাধে প্রচার করুক। সেটা এবার হয়েছে। তাই তিনি দেশের মানুষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। নবীন এবং প্রবীণ নাগরিক সকলের সঙ্গে দেখা করেছেন। কন্যাকুমারি থেকে কাশ্মীর এবং মণিপুর থেকে মুম্বই যাত্রা করেছেন। আমরা এমন একটা মুখ চাই যে গোটা দেশকে ইতিমধ্যেই চেনে।’