লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিজেপি। সেক্ষেত্রে তারা সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। কিন্তু শরিকদের সহায়তায় তৈরি হচ্ছে এনডিএ সরকার। এখন আর এটা বিজেপি বা মোদী সরকার বলা যাবে না। সারা দেশেই ফল খারাপ হয়েছে বিজেপির। আর বাংলায় তো দাঁড়াতেই পারেনি বিজেপি। ৪২টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন পেয়েছে। ২৯টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে আজ, রবিবার সন্ধ্যায় শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। আর তা নিয়ে যা পরিকল্পনা ছিল বাংলায় সেসব এখন বাতিল করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বাংলার ফল ভাল হবে ধরে নিয়েই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শহর থেকে গ্রামে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রী শপথ অনুষ্ঠান দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। তার সঙ্গে লাড্ডু, মিষ্টি বিলি, খাওয়াদাওয়া এবং আবির খেলার পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন হতাশা নেমে এসেছে। এই ফলাফল নিয়ে এমন জমকালো আনন্দ করা যায় কি! তাই শহরের বেশিরভাগ জায়গাতেই এই কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে। ছোট করে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা কয়েকটি জায়গায় নেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে কর্মী–সমর্থকরা উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। ইতিমধ্যেই দিলীপ ঘোষ, অমৃতা রায়, জগন্নাথ সরকার এবং সৌমিত্র খাঁ রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলা শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতার গঙ্গায় কুমিরের আনাগোনা, আতঙ্কে ঘাটে নামছেন না মানুষজন, তদন্তে বন দফতর
এই আবহে বড় করে কর্মসূচি নিলে তা চূড়ান্ত ফ্লপ হতো। সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েই একদিকে বাতিল অপরদিকে ছোট করে করার পরিকল্পনা নিয়েছে। আবার বিপদের আশঙ্কা করেও কর্মসূচি ছোট করা হয়েছে। কারণ তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। সেটা বড় করে দেখাতে গিয়ে যদি ভাঙচুর হয় তাহলে আর এক কেলেঙ্কারি। তার থেকে ছোট আকারেই করা ভাল মনে করছেন বিজেপি নেতারা। তাই বেলেঘাটা, বাঘাযতীন, কাঁকুড়গাছি, আনন্দপুর–সহ শহরের একাধিক জায়গায় শপথ অনুষ্ঠান দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। এখানের কর্মীরাই গোটা পরিকল্পনার মূলে ছিলেন। কিন্তু এখন আর নেই। এই বিষয়ে বাঘাযতীন এলাকার বিজেপি নেত্রী রিঙ্কু নস্কর বলেন, ‘কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। তবে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সব ঠিক হবে। চলছে ভাবনাচিন্তা।’