মুক্তি পেয়েছে অনুষা বিশ্বনাথনের ছবি ‘গৃহস্থ’। আর মেয়ের ছবি মুক্তির দিন তাঁর সঙ্গেই হাজির ছিলেন অধ্যাপিকা-সঞ্চালিকা মধুমন্তী মৈত্র। হ্যাঁ, তারকা সন্তান অনুষা। তিনি জনপ্রিয় এবং খ্যাতনামী সঞ্চালিকা মধুমন্তী ও পরিচালক-নাট্য ব্যক্তিত্ব অশোক বিশ্বনাথনের মেয়ে। গত ৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে অনুষা অভিনীত ছবি 'গৃহস্থ'। সেখানেই মেয়ের সঙ্গে হাজির ছিলেন মা।
সেই ছবি মুক্তির দিনই আম অর্পিতা-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসতে হাসতে অনুষা বিশ্বনাথন বলেন, ‘মাকে দেখে আজও বহু মানুষ ক্রাশ খায়, এতে মা আমাকে এখনও হারিয়ে দিচ্ছে, সারাজীবনই হয়ত হারিয়ে দেবে। আমার যদিও এতে কোনও সমস্যা নেই’। মেয়ের কথা শুনে মজা করেই পাল্টা মধুমন্তী বলেন, ‘আমি জানি না, আমার সময়ে কতজন আমাকে পছন্দ করত! তবে অনুষাকেই দেখি এসে লোকজন এসব বলে, এটার কোনও মানেই হয় না। তখন বললে না হয় আমি একটা অ্যাকশন নিতে পারতাম।’
আবার একই সাক্ষাৎকারে অনুষা তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে খানিকটা অভিযোগের সুরে বলেন, ‘মা কোনও কথা শোনে না। মায়ের পায়ে ব্যথা, তাও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ৩ ঘণ্টা কুকুর বিড়াল খাওয়ায়। গোটা লেক এরিয়ায়।’
মধুমন্তী মৈত্র জানান, এটা প্রথম নয়, তিনি মেয়ের সঙ্গে পাশাপাশি বসে তাঁর প্রায় সব ছবিই দেখেছেন। তবে যেবার মেয়ের প্রথম ছবি দেখতে যান, সেবার বেশ উৎসাহী ছিলেন। অনুষাও পাল্টা জানান, তাঁর সিরিয়াল দেখেও তাঁকে তাঁর মা বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন। এদিন মাকেই নিজের সেরা সমালোচক বলে উল্লেখ করেন অনুষা বিশ্বনাথন। তাঁর কথায়, 'মা যখন আমার কোনও ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন, তখন বুঝতে হবে, মা-তো আর নিজের স্বার্থে বলছেন না, আমার ভালোর জন্য বলছেন।'
মধুমন্তী মৈত্রের কথায়, তিনি বা তাঁর স্বামী অশোক বিশ্বনাথন, কেউই মেয়েকে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসার জন্য উৎসাহিত করেননি, আবার বাধাও দেননি। তবে এখন যখন অনুষা এসেই গেছেন, তখন মায়েরা তো সবসময় জ্ঞান দেওয়ার জন্য তৈরি (একটু মজা করে)। তাঁর কথায়, এবিষয়ে তাঁর থেকেও বেশি মেয়েকে পরামর্শ দিতে পারবেন তাঁর স্বামী। কারণ, এবিষয়টি বেশি তাঁরই দখলে।
অনুষার কথায় অবশ্য, সৃজনশীলতার দিক থেকে হয়ত তাঁর বাবা-ই তাঁকে বেশি ভালো গাইড করতে পারেন। তবে ভালো-মন্দ সমস্ত কিছু নিয়ে সাবধান করে দেওয়ার ক্ষেত্রে, আর মহিলা হিসাবে সবকিছু বন্ধুর মতো শিখিয়ে-বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর মা-ই তাঁকে বেশি ভালো পরামর্শ দিতে পারেেন, পথ দেখাতে পারেন বলে মনে করেন অনুষা বিশ্বনাথন।