পরবর্তী খবর
Darshan Jariwala: 'সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম', কলকাতার গর্ভবতী মিডিয়া কর্মীর ধর্ষণের অভিযোগে পালটা দর্শন
1 মিনিটে পড়ুন . Updated: 11 Feb 2024, 02:50 PM IST
Share 
বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Darshan Jariwala: 'সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম', কলকাতার গর্ভবতী মিডিয়া কর্মীর ধর্ষণের অভিযোগে পালটা দর্শন
Share গত ডিসেম্বরেই বর্ষীয়ান অভিনেতা দর্শন জরিওয়ালার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন কলকাতার এক মিডিয়া কর্মী। শহরের ওই মহিলা সাংবাদিকের অভিযোগ বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন অভিনেতা, তার ফলেই অন্তঃসত্ত্বা তিনি। কলকাতা পুলিশে রুজু হয়েছে ধর্ষণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা। ওই গর্ভবতী সাংবাদিকের দাবি ভুয়ো, এমনটাই বলছেন দর্শন জরিওয়ালার আইনজীবী। অভিনেতা ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পালটা মানহানির মামলা রুজু করেছেন।
দর্শনের আইনজীবী সবিনা বেদী সচার, স্পষ্ট বলেন-ওই সাংবাদিকের গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তান কোনওভাবেই তাঁর মক্কলের হতে পারে না কারণ তিনি বাবা হতে অক্ষম। হ্যাঁ, সন্তানের জন্মদিনে ব্যর্থ দর্শন এমনটা নাকি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। দর্শন জরিওয়ালা এই বিতর্কের জেরেই 'সিনে অ্যান্ড টিভি আর্টিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর সহসভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবুও বিতর্ক থামেনি।
দর্শন বাবা হতে অক্ষম, এই যুক্তি উড়িয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে নির্যাতিতা জানান, ‘কেউ বাবা হতে পারবে না মানে এই নয়, সে কাউকে ধর্ষণ করতে পারবে না কিংবা কারুর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে না’। নির্যাতিতা মহিলার আরও দাবি দর্শন জরিওয়ালার ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মেডিক্যাল রিপোর্ট রয়েছে তাঁর কাছে। সন্তানধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে ওই মহিলার কাছে পরামর্শ নিতেন অভিনেতা, হোমিওপ্য়াথিতে এর কী চিকিৎসা রয়েছে সেই ব্য়াপারেও আলোচনা হত দুজনের। দর্শনের বর্তমান সহবাস সঙ্গী অনাহিতা জাহানবক্স কীভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন যদি অভিনেতা সন্তানধারণে অক্ষম হন, পালটা প্রশ্ন অভিযোগকারিণীর।
২০২২ সালে আইভিএফের মাধ্যমে প্রেগন্যান্ট হয়েছিলেন অনাহিতা, দাবি দর্শনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা মহিলার। পরে যদিও গর্ভপাত হয় অনাহিতার, হবু মা শারীরিকভাবে আনফিট হওয়ার জেরেই মিসক্য়ারেজ হয়েছিল পালটা দাবি তাঁর।
দর্শন জরিওয়ালা ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী অপরা মেহতার এক কন্যে সন্তানও রয়েছে- খুশালি জরিওয়ালা, মনে করান ওই নির্যাতিতা। তবে সব দাবি উড়িয়ে টাইমস নাও-কে দর্শনের আইনজীবী বলেন, 'আমার মক্কেল সন্তানের জন্ম দিতে অক্ষম। ওঁনার নিজের পার্টনারই অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। আইনজীবী আরও জানান, সংবাদকর্মীর প্রেগন্যান্সি রিপোর্টের সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। হয়ত তাঁর মক্কেলকে কালিমালিপ্ত করতেই মিথ্যা রিপোর্টের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারণিণী যে সোনোগ্রাফি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন, তাতে গরমিলের অভিযোগ দর্শনের আইনজীবীর। খুুব শীঘ্রই মানহানির মামলায় বিষয়টি জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে বিশ্বাস অভিযুক্তর আইনজীবীর।
