বর্তমানে দিদি নম্বর ১-এ শুরু হয়েছে জেলা ভার্সেস জেলা-র লড়াই। বাংলার ২০ জেলার দিদিদের মধ্যে সেরা কে হবেন সেটার খোঁজে আপাতত রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতে নদিয়া থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন শুচিস্মিতা সিংহ বিশ্বাস। আর সেই দিদির মুখেই উঠে এল অজানা এক ইতিহাস।
নদিয়ার নামকরণ কী করে হল তা জানিয়ে দিদি নম্বর ১-এ শুচিস্মিতা জানালেন, ‘প্রচলিত আছে যে ভাগিরথী নদীর তীরে এক তন্ত্র সাধক নটা প্রদীপ জ্বালিয়ে প্রত্যেক সন্ধেবেলায় তন্ত্রসাধনা করতেন। এবং দূর থেকে লোকজন দেখে বলতেন, ন (নয়) দিয়া-র চর। আর সেই থেকেই নদিয়া নামটি এসেছে।’
আরও পড়ুন: রোজ লাগত একটা গোটা বোতল! কীভাবে মদ্যপানের নেশা তাড়িয়েছিলেন জাভেদ আখতার, জানালেন শাবানা
এরপর নিজের জেলার গর্বে তিনি আরও জানান, ‘নদিয়া মানে শান্তিপুরের রাস, নদিয়া মানে কৃত্তিবাস ওঝা, নদিয়া মানে শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্প।’ তবে কমেন্ট সেকশনে অনেক নদিয়াবাসী এসেই দাবি করেছেন, শুচিস্মিতা সঠিকভাবে তাঁদের জেলাকে তুলে ধরতে পারেননি এত বড় একটি মঞ্চে। একজন কমেন্টে লেখেন, ‘নদিয়া মানেই চৈতন্য মহাপ্রভু… নবদ্বীপ। তার নামটাই নিলেন না!’ আরেকজন আবার লেখেন, ‘ইতিহাস না জেনে কথা বললে যা হয় আর কি’! তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘দিদি নম্বর ১ শো-তে এর থেকে বেশি আর কী বা আশা করা যায়’।
আরও পড়ুন: লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে ক্যারিয়ার অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পাবেন শাহরুখ খান
চতুর্থজন লেখেন, ‘আমি নদিয়ার মেয়ে নই, বৈবাহিক সূত্রে থাকি। আপনার ব্যাখ্যা নিয়ে কিছু বলছি না, কিন্তু নদিয়া জেলা শুনলে সবার আগে মাথায় আসে মহাপ্রভুর জন্মস্থান যিনি বিশ্ববন্দিত। এছাড়াও মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ী, জগদ্ধাত্রী পূজা, এগুলো ব্যতিরেখে শুধুই শান্তিপুরি ভদ্রতা।’
আরও পড়ুন: বড় চমক ডায়মন্ড দিদি জিন্দাবাদে! জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িয়ে যাবে নায়িকা, নেপথ্যে নায়ক
দিদি নম্বর ১-এর জেলা ভার্সেস জেলায় মোট ২০টি লিগ এপিসোড, ৪টি উইকলি ফিনালে এবং একটি গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবার পর্যন্ত রোজ একটি করে জেলার ৪ জন প্রতিযোগী অংশ নেবেন। তাঁদের মধ্যে প্রতি জেলার যিনি সর্বোচ্চ নম্বর পাবেন তাঁদের নিয়ে শনিবার একটি করে উইকলি ফিনালে-র আয়োজন করা হবে। আর চারটি উইকলি ফিনালে-তে যারা জিতবেন, তাঁদের নিয়ে একেবারে শেষে হবে গ্র্যান্ড ফিনালে। আর তা জিতে নিলেই পাওয়া যাবে বাংলার সেরা দিদি নম্বর ওয়ানের খেতাব।