প্রবীণ অভিনেত্রী ফরিদা জালাল, সম্প্রতি যাঁকে Netflix-এর Heeramandi-এ দেখা গিয়েছে, তাঁকে ১৯৯০ এর দশকে তাঁর অভিনীত সিনেমা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। এই ছবিতে তিনি শাহরুখ খান এবং সালমান খানের অন-স্ক্রিন মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করে মন জয় করেছিলেন সকলের। ফরিদা বলেন যে, যখন সেভাবে কারোর সঙ্গেই তাঁর যোগাযোগ ছিল না, তখন তাঁর পাশে ছিলেন স্বয়ং শাহরুখ খান। ফরিদার কাঁধের অস্ত্রোপচারের সময় এসআরকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
আরও পড়ুন: (সৌজন্যের টলিউড! রুক্মিণীর হাত ধরে দেবের ‘ব্যুমেরাং’, গন্তব্য ‘অযোগ্য’ প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা)
তিনি শাহরুখ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন কি না জানতে চাইলে ফরিদা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেন, ‘না, আমি করি না। কীভাবেই বা করব? এমনকী সলমনের ক্ষেত্রেও তাই।ওরা সম্ভবত নিজেদের মোবাইল নাম্বার পাল্টেছে, আপনি কী জানেন কেন? আমার কাঁধের অস্ত্রপ্রচারের সময় খানিক কাকতালীয় ভাবেই শাহরুখ আমার পাশে এসে দাঁড়ায়, অনেক উপকার করে ওই সময়। আমি ওঁর ডাক্তারের কাছেও গিয়েছিলাম। সত্যি খুব মিষ্টি ও।’
তিনি আরও বলেন যে, কীভাবে তাঁর কাঁধের অস্ত্রোপচারের পরে এসআরকে তাঁকে শান্ত করেছিলেন এবং তাঁকে ধৈর্য রাখতে বলেছিলেন।
কী বলেছিলেন বাদশা?
অস্ত্রপ্রচারের বিষয়ে শাহরুখ বলেছিলেন, ‘ফরিদা জি, এটা আমায় আপনাকে বলতেই হবে যে, এই কাঁধের অস্ত্রোপচার থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে অনেকটা সময় লাগবে, তাই আপনি দয়া করে অধৈর্য হবেন না।’ অভিনেত্রী সেই সময় নিজের হাত উপরে ওঠাতে না পারায় বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু তখনও আশ্বাস দেন কিং খান। তিনি বলেন, ‘ফরিদাজি, চিন্তা করবেন না, সময় লাগে। এক বছর পরে, আপনি আপনার হাত ভালোভাবে তুলতে সক্ষম হবেন। সময় লাগে, তাই ধৈর্য হারাবেন না।’
যোগাযোগের অভাব
ফরিদা জালাল জানান যে, তিনি শাহরুখ এবং সলমানের সঙ্গে কথা বলতে চান কিন্তু তাঁদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, ‘যখন আমি আগের সেই নম্বরে কল করার চেষ্টা করি, কারণ আমি তাঁদের সাফল্যে খুশি, তাঁদের ছবি পছন্দ করি, আমি তাঁদেরকে বলতে চাই খুব ভালো, আমি তোমাদেরর জন্য খুব খুশি, কিন্তু সেই লাইনে কাউকে পাওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: (লন্ডন থেকে ভারতে পা! ক্যাটরিনার ‘বেবি বাম্প’ দেখে চমকাল সকলে, দেখুন ভিকির বউকে)
তাঁর সেক্রেটারি যদি আপনার প্রতি সদয় না হন, তাহলে আপনি কী করবেন? আমার কাছে তাঁর নম্বর না থাকায় আমাকে কারও মাধ্যমেই তাঁর কাছে যেতে হবে। তাই এ বিষয়ে শাহরুখের ভাবা উচিত।’ শেষে তিনি বলেন, ‘লোকেরা যখন আপনার সঙ্গে কথা বলতে চায় তখন তারা কী করবে? বিশেষ করে আমার মত মানুষ। সলমানের নম্বরও ছিল, আমরা একে অপরের সঙ্গে প্রায়শই কথা বলতাম, এখন সেও তাঁর ফোন নম্বরটি বদলেছে, আমি আর কী করব?’।
৭৫ বছর বয়সী ফরিদা দিলওয়ালে ‘দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’ এবং ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর মতো ছবিতে এসআরকে-এর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি সলমানের সঙ্গে অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘জব পেয়ার কিসিসে হোতা হ্যায়’, ‘দুলহান হাম লে যায়েঙ্গে’-এর মতো ছবিতেও স্ক্রিন শেয়ার করেছেন।