ইডেনে যখন মহম্মদ শামি খেলছেন, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে কুরুচিকর আক্রমণ করলেন হাসিন জাহান। বৃহস্পতিবার রাতের দিকে ইনস্টাগ্রামে শামির বিচ্ছিন্না স্ত্রী বলেন, ‘শামি আহমেদ কলকাতা আসে। কিন্তু কখনওই মেয়ে আইরার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টাও করে না। শেষবার যখন দেখা করেছিল, তখন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের ভয়ে দেখা করেছিল।’ আর সেই পোস্টের ক্যাপশনে যা লেখেন হাসিন, তাতে তুমুল অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। শামির বিচ্ছিন্না স্ত্রী লেখেন, ‘বেশ্যাদের নিয়ে মশগুল থাকা বাপের কোনও হুঁশ নেই মেয়েকে নিয়ে। কোনও দায়িত্ব নেই। কিন্তু জঘন্য সমাজ আমায় ভুলভাল বলে থাকে।’
শামি দেশের হয়ে খেলেন, হাসিনকে পালটা নেটিজেনদের
আর ভারতীয় তারকার প্রতি হাসিন যে কুরুচিকর ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তেমনই এক নেটিজেন বলেন, ‘যে ছেলেটা (শামি) দেশের নাম উজ্জ্বল করেন, তাঁর বিষয়ে আপনি সবসময় এরকম জঘন্য কথা বলেন।’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘মহম্মদ শামি একজন ভারতীয় খেলোয়াড়। ওঁনার নামে উলটো-পালটা কথা বলবেন না।’
মেয়ের পাসপোর্টের জন্য সই করছেন না শামি, অভিযোগ করেছিলেন হাসিন
এমনিতে শামির বিরুদ্ধে অতীতে বিভিন্নরকম অভিযোগ তুলেছেন হাসিন। ২০২৪ সালের শেষের দিকে মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটি করতে গিয়েছিলেন শামি। তখনও চোট কাটিয়ে ভারতীয় দলে ফিরতে পারেননি তারকা পেসার। তারইমধ্যে হাসিন অভিযোগ করেছিলেন যে মেয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু নথিপত্রে স্বাক্ষরের পরিবর্তে স্রেফ লোকা দেখানোর জন্য শামি মেয়েকে কেনাকাটা করতে নিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন হাসিন।
আরও পড়ুন: Hasin-Sourav: ‘ওর মেয়ে এখনও সুরক্ষিত…সৌরভ ভাবে মেয়েরা শুধুই এনজয় করার বস্তু', বিস্ফোরক হাসিন জাহান
সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, হাসিন বলেছিলেন যে ‘স্রেফ লোক দেখানোর এরকম করেছে (শামি)। আমার মেয়ের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। নয়া পাসপোর্টের জন্য শামির স্বাক্ষরের প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে ও বাবার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। কিন্তু শামি স্বাক্ষর করেনি। বরং মেয়ের সঙ্গে শপিংয়ে চলে গিয়েছিল।'
'মেয়ে গিটার ও ক্যামেরা চেয়েছিল, শামি কিনে দেয়নি', দাবি হাসিনের
সেইসঙ্গে হাসিনকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, 'যে সংস্থার হয়ে শামি বিজ্ঞাপন দেয়, সেখানে ওকে নিয়ে গিয়েছিল (ভারতীয় তারকা)। ওই দোকান থেকে আমার মেয়ে জুতো এবং জামাকাপড় কিনেছিল। ওখান থেকে কিনলে শামিকে টাকাও দিতে হয় না। সেই কারণেই আমার মেয়েকে ওখানে নিয়ে গিয়েছিল। আমার মেয়ে একটা গিটার এবং ক্যামেরা চেয়েছিল। কিন্তু সেগুলি কিনে দেয়নি (শামি)।’