লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। শুধু কী তাই, জয়ীও হয়েছিলেন নায়িকা। তবে পাঁচ বছরের মধ্যেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে আর প্রার্থী হিসেবে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। বর্তমানে নিজের কাজ নিয়েই ব্যস্ত মিমি। তবে একটি পোস্ট দেখে অনেকেই দাবি করেছেন ফের নাকি রাজনীতির জগতে পা রাখতে চলেছেন মিমি!
না না অভিনেত্রী এই বিষয়ে কোনও ইঙ্গিতই দেননি। কিন্তু যে দলের হয়ে তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন, সেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম মুখ কুণাল ঘোষ এবার তাঁর সমাজমাধ্যমের পাতায় নায়িকার ফিনল্যান্ড ভ্রমণের একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছেন। ছবিতে মিমিকে কাপ হাতে তৃপ্তিতে চোখ বুজে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: 'একদম প্রথম দিন থেকে…', বড় পর্দায় ফের 'সাধক বামাক্ষ্যাপা' রূপে ফেরা নিয়ে অকপট সব্যসাচী
ছবিটি শেয়ার করে কুণাল ক্যাপশনে লেখেন, 'মিমিকে পর্দায় আমার দারুণ লাগে, তার উপর আমি চা-ভক্ত। তাই ফিনল্যান্ড ভ্রমণে মিমির এই চা-তৃপ্তির ছবিটি দেখে মুগ্ধ। ভারি শক্তিশালী অভিনেত্রী। 'যোদ্ধা'র রাজকুমারী সাজসজ্জার থেকে 'বোঝে না সে বোঝে না'র সাধারণ লুকটিই যেন অসাধারণ। 'রক্তবীজ'এ 'সংযুক্তা' করেছে। এর মধ্যে দেখলাম 'আমারও পরাণ যাহা চায়' রবীন্দ্রসঙ্গীতটি চমৎকার গেয়েছে। যদিও প্রাক্তন সাংসদ তারকার সঙ্গে আমার আলাপ নেই, তবু, রবিবাসরীয় সকালে পর্দার প্রিয় মুখটির চা-তৃপ্তির ছবিটি পোস্ট করলাম।'
আর এই পোস্ট দেখেই অনেক নেটিজেন দাবি করছেন হয়তো ফের মিমিকে রাজনীতিতে দেখা যেতে পারে। একজন কমেন্টে লেখেন, ‘দিদি মনে হয় প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না, তাই প্রাক্তন সাংসদকে আবার মনে হয় বিধানসভায় দাঁড় করাতে চায়, তাই দিদির নির্দেশে তুমি মিমির পা চাটতে শুরু করেছ।’ আর একজন তাঁকে খোঁচা মেরে প্রশ্ন করেন, ‘ক্রাশ খেলেন নাকি?’ আর একজন লেখেন, ‘মিমি অবশ্য অবিবাহিত এখনও’।
আরও পড়ুন: বহু বছর পর বড় পর্দায় ফের প্রসেনজিৎ-চিরঞ্জিত জুটি! কোন ছবিতে দেখা যাবে তাঁদের?

এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘দাদা একটু দুর্বলতা প্রকাশ পাচ্ছে মনে হয়।’ আর একজন লেখেন, ‘কাকু ভেবেছিলাম সকাল সকাল উঠে আপনারা কেমনই ভাবে জল বাতাসা দেবেন সেই নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কিন্তু দেখি আপনার মুড তো অন্য কিছু বলছে।’ অন্য এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘প্রেমে পড়লেন নাকি?’। আর একজন মন্তব্য করেছেন, ‘দাদা বয়স বাড়ছে কিন্তু নিজের শরীরের দিকেও নজর দিন।’ তাছাড়াও কুণালের অতীত নিয়ে খোঁচা দিয়ে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেন, ‘প্রিজন ভ্যানে বসে চা খাওয়াটা আলাদাই স্বাদ। সেই স্বাদের কোন ভাগ হবে না।’ অন্য একজন টলিপাড়ার আর এক নায়িকাও তাঁর সাংসদ স্বামীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আবার হঠাৎ করে এই ভাবে মিমির প্রশংসা গভীর রহস্যময়।বুঝতেই পারছি শুভ বলে কোনও শ্রীর রাজার রাজত্ব এবার একটু টলমলে গোলমেলে লাগছে।’ যদি কুনালের পোস্টে মিমির কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই দলের কাছে পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছিলেন মিমি। বর্তমানে অভিনয় জগৎই অভিনেত্রীর এক মাত্র ধ্যান। পাশাপাশি নতুন মিউজিক ভিডিয়োয় এনেছেন নায়িকা। তবে শুধু কাজ নয়। কাজের মাঝে একটু ফাঁকা সময়ই পেলেই তিনি ঘুরতেও চলে যান। এখন আবার তাঁর জীবনে নতুন সংযোজন নায়িকা নাকি প্রেমের পড়েছেন তার গুঞ্জন।