Gang Rape:মুম্বইয়ের কুর্লা থেকে কল্যাণ স্টেশনের মধ্যে চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষিত হয়েছেন, দাবি মডেলের,২ মাস পর অভিযোগ দায়ের

সম্প্রতি এক গুরুতর অভিযোগ তুললেন মধ্যপ্রদেশের এক মডেল। এই ৩১ বছরের মডেল এদিন জানান তাঁকে চলন্ত ট্রেনে নেশার জিনিস খাইয়ে গণধর্ষণ করেছে। শুধু তাই নয় তিনি এদিন একই সঙ্গে অভিযোগ করেন যে অপরিচিত সেই ব্যক্তিরা এই গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দিও করেছে। মডেলের দাবি অনুযায়ী সবটাই ঘটেছে গত মার্চ মাসে। প্রায় দুই মাস পর তিনি রেল পুলিশের কাছে অভিযোগ জানালেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী কুর্লা থেকে কল্যাণ স্টেশনের মধ্যেই এই ঘটনাটি ঘটেছে।এই মহিলা রেল পুলিশের কাছে জানিয়েছেন তিনি আদতে গোয়ালিয়রের বাসিন্দা। কিন্তু মুম্বইতে থাকেন তিনি কর্মসূত্রে। সেখানে তিনি মডেলিং করেন। যেদিন ঘটনাটি ঘটেছে সেদিন তিনি ভোর বেলায় কুর্লা স্টেশন থেকে ট্রেন ধরেন।আরও পড়ুন: প্রতি ছবিতেই নারীর বদলে 'জটিল' পুরুষ চরিত্র উঠে আসে, কিন্তু কেন? ইমতিয়াজ বললেন, 'ওরা নিজেরাই সমস্যাকে...'আরও পড়ুন: 'এবার অভিনয়ের ক্লাস শুরু কর', 'শ্রীকান্ত' রাজকুমারকে বুদ্ধি অক্ষয়ের, কিন্তু কেন?রেল পুলিশের এক আধিকারিক এই বিষয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, 'অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন তিনি তুলসি এক্সপ্রেসের থার্ড এসিতে একাই যাচ্ছিলেন। তিনি তাঁর বাড়ি যাচ্ছিলেন সেদিন। তখনই তাঁকে মাদক দ্রব্য খাইয়ে কোচের মধ্যে গণধর্ষণ করা হয়। তিনি অভিযোগ করেছেন যে সবটাই নাকি রেকর্ড করেছে সেই ব্যক্তিরা। কুর্লা স্টেশন ছাড়ার ৪০ মিনিটের মধ্যেই নাকি এই ঘটনাটি ঘটেছে।'এই ঘটনার পর সেই মহিলা নাকি ঝাঁসিতে নেমে যান। তারপর প্রায় ঘটনার ৩৯ দিন পর তিনি গোয়ালিয়র রেল পুলিশের কাছে গোটা বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। তাঁদের তরফে মুম্বই পুলিশকে আরও ২১ দিন পর বিষয়টা জানানো হয়। বর্তমানে এই বিষয়ে থানে পুলিশ স্টেশন একটি কেস করা হয়েছে বলেই থানে পুলিশ স্টেশনের তরফে জানানো হয়েছে।ইতিমধ্যেই থানে রেলওয়ে পুলিশের তরফে তদন্ত শুরু করে দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের কাছে নাকি সিসিটিভি ফুটেজ নেই। ওই নির্দিষ্ট স্টেশনে নাকি নির্দিষ্ট কিছু দিনের ফুটেজ রেকর্ড করা হয় কেবল। এখন কেবল টেকনিক্যাল এক্সপার্টিজের উপর ভিত্তি করে তদন্ত চলছে।আরও পড়ুন: লাইফ সাপোর্টে মা, কঠিন পরিস্থিতিতেও কর্মে অবিচল মোনালি, প্রকাশ্যে ভিডিয়োএকই সঙ্গে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে সেই মহিলা নাকি তাঁর টিকিট পর্যন্ত দেখাতে চাননি, কোচ নম্বর জানাননি। এমনকি মেডিক্যাল টেস্ট করাতেও অস্বীকার করেছেন। থানে রেলওয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে তাঁদের কাছে সেই ট্রেনের সমস্ত কোচের সব প্যাসেঞ্জারদের লিস্ট আছে। কিন্তু সেখানে তাঁরা সেই মহিলার নাম খুঁজে পাননি।