ছেলে অন্ত প্রাণ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। একমাত্র সন্তানকে নিয়ে কথা বলেন মাঝেমাঝে দিদি নম্বর ১-এও। প্রকাশ্যেই একাধিকবার জানিয়েছেন রৌনকের কথা ভেবেই তিনি ডিভোর্স নেননি স্বামী প্রবাল বসুর থেকে। ছাদ আলাদা হলেও, ছেলের সব দায়িত্ব পালন করেন একসঙ্গে। কোনওদিন চাননি ছেলেকে শুনতে হোক তাঁর মা-বাবা ডিভোর্সড।
১৬ বছরে পা রেখেছে রৌনক। মা-র সঙ্গে সম্প্রতিই গিয়েছিল সে নাইট আউটে। দুজনের সেই আউটিংয়ের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন রচনা। খুব ছিমছাম সাজ ছিল দিদি নম্বর ১-এর সঞ্চালিকার। লম্বা ঝুলের সোয়েটার, সঙ্গে স্কিন কালারের লেগিংস। চাদর গলায় স্কার্ফের মতো জড়ানো। খোলা চুল।
আর রৌনক পরেছিল নীল রঙের হুডি। গায়ে তার হলুদ টি-শার্ট। লম্বায় মা-কে ছাড়িয়ে গিয়েছে রৌনক ইতিমধ্যেই। তবে যেভাবে এখনও নিজের বয়স আর ফিটনেস ধরে রেখেছেন রচনা, তাতে ছবি দেখে মা-ছেলে কম, ‘দিদি-ভাই’ দেখতে লাগছে বেশি।
রেস্তোরাঁর সিটে বসেও একাধিক ছবি তুলেছেন তাঁরা। দেখুন রচনার পোস্ট-
রচনার এই পোস্টে একজন কমেন্ট করেছে, ‘দিদির থেকে ছেলে তো অনেক লম্বা হয়ে গেল’। আরেকজন লিখলেন, ‘কেউ বলবে না মা আর ছেলে। যেন দিদি আর ভাই। কী মিষ্টি ছবিগুলো’। তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘আমি চাই আমার আর আমার ছেলের সম্পর্কের রসায়নও যেন তোমার আর রৌনকের মতোই হয়। অনেক আদর আর ভালোবাসা দুজনকে।’
এর আগে টিভির আরেক চেনা মুখ, অভিনেত্রী সুদীপার সঙ্গে মাতৃত্ব নিয়ে আলোচনার সময়, রচনাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আমি আমার বাবার থেকে সব কাজ পারমিশন নিয়ে করতাম। দু বছর আগে, বাবা মারা যাওয়া অবধিও তাই ছিল। আমি যেহেতু এভাবে মানুষ তাই আমার মেনে নিতে কষ্ট হয় যে আমাকে আমার ছেলে মুখের উপর জবাব দেবে। এমন নয় ও খারাপ। পরিবেশই সেরকম। নিজেদের দুনিয়ায় খুব ব্যস্ত। সব শুনছে। করছে সেটাই যেটা ও ভাবছে। এই সময়টা খুব কঠিন। নিজেকে বদলাতে হবে। ওদের মতো করে নিজেদের বদলে নিতে হবে এই সময়। ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে তোমাকে।’
২০০৭ সালে প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন রচনা। অভিনেত্রীর ছেলের ভালো নাম প্রনীল বসু। যদিও মাম্মা রচনা ডাকেন রৌনক নামেই। আর সেই নামেই বেশি পরিচিত সে রচনার-অনুরাগীদের কাছে।