'টেক্কা'র দৌলতে ‘মায়া’ হয়ে হাজির হবেন খুব শীঘ্রই। আপাতত চর্চায় রয়েছে 'মায়া'র লুক। সম্প্রতি 'টেক্কা' নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দেব ও তাঁর সম্পর্কের নানান খুঁটিনাটি বিষয়ে কথা বলেছেন রুক্মিণী মৈত্র।
সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'মায়া' চরিত্রের সঙ্গে নিজের তুলনা করে রুক্মিণী বলেন, এই চরিত্রের সঙ্গে তাঁর খুব একটা মিল না থাকলেও 'মায়া'র মতো তিনিও নিজের মধ্যে ঝড় বয়ে গেলে বাইরে থেকে সেটা বুঝতে দেন না। তবে খুব যদি রেগে যান, সেটা অবশ্য চোখের চাহনিতে বুঝিয়ে দেন বলে জানান রুক্মিণী। সঙ্গে বলেন, সেটা অবশ্য বছরে ১ বারই হয়ত ঘটে।
রুক্মিণীর সেই রাগ কি তবে দেব বুঝতে পারেন? সেপ্রশ্ন রুক্মিণীর উত্তর ছিল, খুব কাছের মানুষের রেগে গেলে তাঁর তাকানো, চেঁচামিচি, কান্নাকাটি, সবকিছুরই একটা স্টেজ আছে। রুক্মিণীর কথায়, তিনি রেগে গেলে বুঝিয়ে দেন, তবে কখনওই কাউকে ভারবাল অ্যাবিউজ (খারাপ কথা বলেন না) করেন না। আবার পরে শান্তও হয়ে যান।
রুক্মিণীর কথায়, দেবও যেমন ইয়ার্কি মারেন, তেমন তিনিও নানান বিষয়ে মজা করেন। তবে কেউ রেগে গেলে তিনি সতর্ক হয়ে যান। রুক্মিণীর সাফ কথা, ‘আমি এমন কিছু বলতে চাই না যে সেটা সে সারাজীবন মনে রেখে কষ্ট পাবে।’ 'মায়া' চরিত্রের প্রসঙ্গ টেনে রুক্মিণী বলেন, মেয়েরা সারাক্ষণ নেগোশিয়েশনের মধ্যেই বাঁচে। বাড়িতে বাবা-মায়ের ঝগড়া হলে মেয়েই তাঁদের মধ্যে নেগোশিয়েট করে। সবদিল সামলানোর দায়িত্ব মেয়েদের মধ্যেই পড়ে। আর এই কথা প্রসঙ্গেই উঠে আসে দেব-রুক্মিণীর ঝগড়ায় সেতুবন্ধনের প্রসঙ্গ। কে করে সেই কাজ?
রুক্মিণী বলেন, ‘আমি আর দেব খুব বেশি ঝগড়া করি না। ঝগড়ার সময় কেউ একজন বলে, অন্যজন শোনে। দেয়ার ইজ নো ফাইট।’ তবে এই ঝগড়ায় কে বলে আর কে শোনে সেকথা ফাঁস করতে নারাজ রুক্মিণী। রুক্মিণী বলেন, ‘মা-বাবার থেকে শিখেছি, অযথা তর্ক এড়িয়ে সমস্যা নিয়ে কথা বলাই শ্রেয়। আরেকটা দারুণ উপায় আছে, সেটাও বাবা-মায়ের কাছ থেকেই শেখা, সেটা হল কখনও ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে ঝগড়া হলে, কেউ কাউকে সহ্য করতে পারছো না, চেঁচামিচি, তর্ক হচ্ছে এমন হলে সঙ্গে সঙ্গে হাতটা ধরে ফেলো’
রুক্মিণীর কথায়, হাত ধরলে বডি এনার্জি একে অপরের মধ্যে ট্রান্সফার হয়, তখন কেউ না কেউ শান্ত হয়ে যায়। রুক্মিণী বলেন, তিনি যখন খুব রেগে যান, তখন তাঁর পছন্দের খাবার এনে দিলে তিনি শান্ত হয়ে যান। ঝগড়ার মধ্যে বলতে হবে, ‘তর্ক পজ করো, একটা খাবর অর্ডার করি, দ্যাটস দ্য ট্রাম্প কার্ড’।