NCP নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের ঘটনায় শোকস্তব্ধ সলমন, আবার কিছুটা বিচলিতও বটে। আর হবেন নাই বা কেন! কিছুদিন আগে সলমন খানকে খুনের ঘটনায় ছক কষেছিল যে বিষ্ণোই গ্যাং, তারাই এই খুনের ঘটনায় দায় স্বীকার করে নিয়েছে। তাই 'ভাইজান' সলমন খানের চিন্তিত হওয়াটাই স্বাভাবিক নয় কি?
এদিকে সলমন খানের একান্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন বাবা সিদ্দিকি। তাঁর ইফতার পার্টি থেকে জন্মদিনের সেলিব্রেশন, সর্বত্রই নিয়মিত যাতায়াত ছিল সলমনের। এমনকি এই বাবা সিদ্দিকিই একসময় খোদ সলমন-শাহরুখের মধ্যে তিক্ততাও মিটিয়ে দিয়েছিলেন। আবার এই প্রয়াত NCP নেতাকেও একাধিকবার সল্লুর বাড়িতে হাজির হতে দেখা গিয়েছে। আর তাই শনিবার এই মৃত্যুর খবর পেতেই লীলাবতি হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। এমনকি হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি ও তাঁর পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। বাবা সিদ্দিকির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে সেই খবরও নেন। ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, 'ভাইজান' নাকি আর হাসপাতাল থেকে ফেরার পর থেকেই ঠিক মতো ঘুমতেও পারছেন না।
এদিকে জানা যাচ্ছে, বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুর পর নিজের সমস্ত মিটিং কিছুদিনের জন্য বাতিল করে দিয়েছেন বলিউড তারকা। সূত্রের খবর শুধু অভিনেতাই নন, তাঁর পরিবারও এমন একটা খবরে বিধ্বস্ত। কারণ, সলমনের মতোই আরবাজ ও সোহেল খানও বাবা সিদ্দিকির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। খান পরিবার এই মুহূর্তে তাঁদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সকলকে অনুরোধ করেছেন। এমনকি নিরাপত্তা জনিত উদ্বেগের কারণেই বলিউডের অনেক বন্ধুকেও জানিয়েছেন আপাতত সলমন ও তাঁর পরিবার কারোর সঙ্গেই দেখা করতে পারবেন না। এমনকি খবর, কিছুদিনের জন্য Bigg Boss-এর শ্যুটিংও বাতিল করে দিয়েছেন সলমন।
শনিবার সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীরা গুলিয়ে চালিয়ে হত্যা করে বাবা সিদ্দিকিকে। ঘটনার সময় তিনি বান্দ্রায় তাঁর ছেলে জিশানের অফিসের বাইরেই ছিলেন এবং তাঁকে দ্রুত লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি মারা যান। ইতিধ্যেই সেই মামলায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন পলাতক।
নিউজ ১৮-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে কুরিয়ারের মাধ্যমে অস্ত্র পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা। ঘটনায় ৩ অভিযুক্ত ২ সেপ্টেম্বর থেকে কুরলায় একটা ভাড়া বাড়িতে থাকছিলেন, যার ভাড়া মাসিক ১৪ হাজার টাকা। প্রতিবেদনও আরও দাবি করা হয়েছে, জেলে থাকাকালীনই এই ৩ অভিযুক্তের আলাপ হয়েছিল।