'থ্রি ইডিয়টস'-এ আমিরের নির্দেশে মদ্যপ অবস্থায় শ্যুটিং করেছিলেন শরমান এবং মাধবন!

সদ্য ৫১-য় পা রেখেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আর.মাধবন। প্রিয় বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শরমান যোশী জানিয়েছেন দারুণ এক মজার খবর। এবং অবশ্যই তা তাঁদের অভিনীত বিখ্যাত ছবি 'থ্রি ইডিয়টস' নিয়েই। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া রাজকুমার হিরানি পরিচালিত এই ছবি শুধু 'কাল্ট' তকমাই আদায় করেনি, পাশাপাশি ছবির মুখ্য তিন অভিনেতা আমির খান, শরমান যোশী ও আর.মাধবনকেও জনপ্রিয়তার নিরিখে পৌঁছে দিয়েছিল খ্যাতির চূড়ায়। দমফাটা হাসির বিভিন্ন সিকোয়েন্স ছাড়াও এই ছবি আদতে বন্ধুত্বের গল্প, জীবনের সহজ মূল্যবোধগুলির উপলব্ধি করানোর গল্প বলে। 'থ্রি ইডিয়টস' -এ আমির,শরমান এবং মাধবন অভিনীত চরিত্রগুলির নাম ছিল যথাক্রমে র্যাঞ্চো, রাজু এবং ফারহান। ছবির একটি সিকোয়েন্সে দেখা যায় এই তিন বন্ধু মদ্যপ অবস্থায় কলেজ হোস্টেলের সিঁড়িতে বসে তাঁদের প্রিন্সিপ্যাল 'ভাইরাস' এর উদ্দেশে গালিগালাজ করছে। এরপর নেশার ঘোরে চুর হয়ে ওই রাতের বেলাতেই প্রিন্সিপ্যালের বাড়িতে হানা দেওয়ারও পরিকল্পনায় মেতে ওঠে। তবে জানেন কি ওই দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য সত্যি সত্যিই মদ খেয়েছিলেন শরমান এবং মাধবন! এবং সেই নির্দেশ এসেছিল স্বয়ং আমির খানের তরফে। মদ্যপানের আসরে যোগ দিয়েছিলেন আমির নিজেও। এ খবর জানালেন স্বয়ং শরমান।তা শ্যুটিংয়ের আগের মুহূর্তে কেন এমন বিটকেল নির্দেশ দিয়েছিলেন আমির? সে জবাবও দিয়েছেন তিনি। ' আসলে আমির তো 'মিঃ পারফেকশনিস্ট' তাই চেয়েছিল যদি সত্যিকারের মদ্যপান করে এই দৃশ্যটা আমরা শুট করি তাহলে তা আরও জমবে। আরও 'রিয়েল' মনে হবে। অগত্যা আমিরের নির্দেশ মেনে আমি আর ও একটু সময় নিয়েই আয়েশ করে মদ্যপান করেছিলাম। তখনও আসরে এসে পৌঁছয়নি মাধবন। কোনও কাজের জেরে আটকে পড়েছিল ,যতক্ষণে এলো তখন আর হাতে বেশি সময় নেই ওই দৃশ্যের শ্যুটিং শুরু করতে। উপায় না দেখে অল্প সময়ের মধ্যেই চটপট মদ্যপান করা শুরু করেছিল মাধবন। তাড়াহুড়োয় বেচারা একটু বেশি খেয়ে ফেলেছিল!' হাসতে হাসতে বললেন 'রাজু'। তারপর আরও জানালেন স্বাভাবিকভাবেই মাধবনের ওই অবস্থা দেখে ততক্ষণে হেসে কুটোপুটি আমির ও তিনি। কিন্তু সেই অবস্থাতেও যেভাবে ওই দৃশ্যের শ্যুটিং সেরেছিলেন মাধবন তা দেখে মুগ্ধ হয়েছিল ইউনিটের সবাই। নিজের বক্তব্য শেষে 'ফারহান'-এর ওই অবস্থা হওয়ার পিছনের রহস্য ফাঁস করলেন রাজু,' আসলে ও কোনওদিনই তেমন পান-টান করে না। সেদিন তাড়াহুড়োতে বেশি খেয়ে ফেলেছিল। সবমিলিয়ে তাই বেচারার ওই হাল হয়েছিল!'