বাঙালি একে তো ভোজনরসিক, তার উপর আবার মিষ্টিপ্রেমী জাতি বলে সুখ্যাতি আছে। নিজেদের খাবার নিয়ে তাঁরা বেশ সংবেদনশীল। আর এদিন তাই হলদিরামসের পর সুইগি বাঙালি মিষ্টির নাম ভুল করতেই রীতিমত তাদের ক্লাস নিল বাঙালি নেটিজেনরা।
আরও পড়ুন: শববাহী শকটেই শ্মশানে এলেন দেব-রুক্মিণী, অরুণ রায়ের শেষকৃত্যে শিশুর মতো কেঁদে ফেললেন ‘বিনোদিনী’
কী ঘটেছে?
কিছুদিন আগে জনপ্রিয় হলদিরামসের তরফে পান্তুয়াকে গুলাবজামুন বলায় যারপরনাই চটেছিল বাঙালিরা। এবার সেই এক ভুল করল জনপ্রিয় খাবার ডেলিভারি অ্যাপ সুইগি। তাঁরা এদিন এক্স হ্যান্ডেল অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে দুটো ছবি পোস্ট করেন। একটিতে ল্যাংচা দেখা যাচ্ছে, আরেকটিতে পান্তুয়া। এই ছবি দুটো পোস্ট করে তাঁরা লেখেন, 'কোন গুলাবজামুন সেরা?' আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা।
কে কী বলছেন?
এক ব্যক্তি লেখেন, 'বাংলার মিষ্টির নাম পাল্টে বিক্রি করাটাকে কি বলে? বাংলার নিজের তৈরি মিষ্টি ল্যাংচা আর পান্তুয়াকে গুলাবজামুন বললে হবে? এতে না তো গুলাব আছে না জামুন! লেডিকিনিও তো বলা যায়।' আরেকজন লেখেন, 'সুইগিতে কোনও বাঙালি কর্মী নেই? আপনাদের কেউ বলে দেয়নি এগুলোর আসল নাম কী? কীসের গুলাব জামুন! এগুলো হল বাঙালিদের প্রিয় ল্যাংচা আর পান্তুয়া।' তৃতীয় জন লেখেন, 'এখানে প্রথমে ল্যাংচা তারপর পান্তুয়া আছে। কোনও গুলাব বা জামুন কোনও কিছুই নেই।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'এখানে ব্যবসা করতে এসেছেন তো? তাহলে আগে জায়গাটার ভাষা, সংস্কৃতিকে সম্মান করতে শিখুন। উত্তর ভারতীয় ভাবে সব দেখবেন না।' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'আপনারা কি এতটাই অশিক্ষিত?'
হলদিরামস কী ঘটিয়েছিল?
কিছু দিন আগে এক ব্যক্তি এক্স অর্থাৎ যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল সেখানে হলদিরামসের ল্যাংচার বক্সের ছবি পোস্ট করেছেন। সেই ছবিতে বক্সের উপর বড় বড় ইংরেজিতে লেখা থাকতে দেখা যাচ্ছে, 'লম্বা গুলাব জামুন'। আর এই শব্দেই আপত্তি বাঙালি নেটিজেনদের। কারণ এই মিষ্টিপ্রিয় জাতির অতি পছন্দের মিষ্টি ল্যাংচার নাম এভাবে বদলে দিয়ে বলা ভালো উত্তর ভারতের মিষ্টি গুলাবজামুনের আদলে রাখায় সেটা মানতে পারছে না। তাঁদের মতে বাংলায় ব্যবসা করতে হলে বাংলার জিনিসকে, বাংলার মিষ্টিকে তার নিজের নামেই ডাকতে হবে, বিক্রি করতে হবে।