ক্যানসার যেমন একটি দুরারোগ্য রোগ ঠিক তেমনি একটি দুরারোগ্য রোগ হল ব্রেন টিউমার। ব্রেন টিউমার সহজে ধরা না পড়লে তা প্রাণঘাতী হতে পারে। আজ জানুন কেন বিশ্বব্যাপী ব্রেন টিউমার দিবস পালন করা হয়। এই দিনটির তাৎপর্য কী?
ব্রেন টিউমার কী?
সবার আগে জেনে নিতে হবে ব্রেন টিউমার কী? মস্তিষ্কে টিস্যুগুলি যখন অস্বাভাবিক বেড়ে যায় তখন কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে। টিউমার গুলি ছোট থাকা যদি ধরা পড়ে তাহলে বড় কোনও ক্ষতি হয় না। যদি এটির প্রাথমিক চিকিৎসা না করা হয় এবং টিউমার যদি মস্তিষ্কের টিস্যুগুলিকে ক্রমাগত ক্ষতি করতে থাকে তাহলে তা ক্যানসারে রূপান্তরিত হয়ে যেতে পারে।
(আরো পড়ুন: মাথার মধ্যেই নাকি একটা কম্পাস আছে! গবেষণায় ধরা পড়ল অদ্ভুত এক তথ্য)
বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবসের ইতিহাস
জার্মান ব্রেন টিউমার অ্যাসোসিয়েশন দ্বারা গৃহীত একটি উদ্যেগ। এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৪ টি দেশের প্রায় ৫০০ জনের বেশি প্রতিনিধি এই সংস্থার সদস্য রয়েছেন। এই সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে মস্তিষ্কের টিউমারে নিরাময়ের কাজ করে থাকেন। এই সংস্থার দ্বারা প্রথম শুরু হয়েছিল বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবস যা ২০০০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী স্মরণীয় হয়ে আসছে।
বিশ্ব ব্রেন টিউমার দিবসের গুরুত্ব
ব্রেন টিউমার হল এমন একটি মারাত্মক অসুখ, যা ছোট থেকে বড় প্রত্যেককেই মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রের ক্যানসারের বেশিরভাগ মস্তিষ্কের টিউমারের কারণে হয়। ২০২০ সালে প্রায় ৩,০৮,১০২ টি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত রোগীর কথা জানা গিয়েছিল। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতি ১০০,০০০ জন পুরুষে প্রায় ৩. ৭০ শতাংশ এবং প্রতি ১০০,০০০ জন মহিলার ক্ষেত্রে ২. ৬০ শতাংশ।
(আরো পড়ুন: ইলেকট্রিকে এলার্জি, তাও আবার সম্ভব না কি? জানুন কীভাবে হয় এটি)
২০২৪ সালে ব্রেন টিউমার দিবসের থিম
২০২৪ সালে ব্রেন টিউমার দিবসের থিম হল 'মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য এবং প্রতিরোধ'।
কবে পালন করা হয় ব্রেন টিউমার দিবস?
প্রতিবছর ৮ জুন পালন করা হয় ব্রেন টিউমার দিবস। এই বছর শনিবার পালন করা হবে এই দিনটি।
ব্রেন টিউমার দিবসের উদ্দেশ্য
প্রতি বছর ভারতে প্রায় ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষের মধ্যে ব্রেন টিউমারের লক্ষণ দেখা যায় যার মধ্যে ২০ শতাংশ শিশু। ব্রেন টিউমার আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেঁচে থাকার হার মাত্র ৩৪.৪ শতাংশ। ব্রেন টিউমার সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াই হলো এই দিনটির উদ্দেশ্য।