শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের পিছনে পড়ে গিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। কদিন আগেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নেমে পড়েছে শেখ হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করতে। বিদেশ থেকে প্রকল্প ওপার বাংলায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এবার বাংলাদেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন শেখ হাসিনা এবং তাঁর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলে অভিযোগ তুলেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। তাই এখন সবটা সামনে এনে বিচার করতে ভারতের কাছে হাসিনার ‘প্রত্যর্পণ’ চাওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ইতিমধ্যেই শেখ হাসিনাকে ফিরে পেতে ইন্টারপোলের রেড কর্ণার নোটিশ জারি করছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন শেখ হাসিনা ও ছেলে জয়ের বিরুদ্ধে অর্থ বিদেশে পাচারের অভিযোগ তুলেছে। তাই এই নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মহম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তদন্তও শুরু হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নতুন কনফারেন্স রুম মুরলীধর সেন লেনে! সল্টলেকে পাততাড়ি কি গোটাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি?
এখন বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়ে ভারতও উদ্বিগ্ন। ভারতে থেকেই এই বিষয়ে বার্তা দিয়েছেন শেখ হাসিনাও। তাতে বেজায় চটেছে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্তারা। তখনই ঠিক হয় ভারতের কাছে হাসিনার ‘প্রত্যর্পণ’ চাইবেন। মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই বিষয়ে লেখেন, ‘হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা, গুম এবং দুর্নীতির অভিযোগে আমরা তাঁর প্রত্যর্পণ চাইব। দেরিতে হোক বা দ্রুত। ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। আমরা আশা করি, ভারত এই চুক্তির প্রতি সম্মান জানাবে।’
কদিন আগে শেখ হাসিনা, তাঁর পুত্র জয়, বোন শেখ রেহানা, রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ৯টি প্রকল্পে মোট ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল। যার তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এবার নতুন করে টাকা বিদেশে পাঠানোর অভিযোগও উঠল। তার জেরে তদন্তও শুরু হল। শেখ হাসিনা সহ গোটা পরিবারকে এখন চাপে রাখার কৌশল নেওয়া হয়েছে। আর তাই মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম লেখেন, ‘সম্প্রতি হাসিনার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ভয়াবহ রূপ সারা বিশ্ব বুঝতে পেরেছে। একাধিক দেশের স্বৈরশাসকদের গল্পগুলি বারবার প্রমাণ করে, যে স্বৈরশাসকদের অধ্যায় কারাগারেই শেষ হয়।’