ওই দুজন এলাকার একটি খামারে কাজ করত। সেখান থেকে একটি ছাগল এবং একটি লোহার পাইপ চুরি হয়ে যায়। সেই সন্দেহে খামার মালিক দলিত যুবক এবং তাঁর বন্ধুকে গোয়ালঘরে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১ সেপ্টেম্বর। পরে দলিত ব্যক্তির আত্মীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এভাবেই মারধর করা হচ্ছে।
একবিংশ শতকেও মধ্যযুগীয় বর্বরতা! উত্তর প্রদেশে দলিতদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। আর এবার দলিতদের ওপর নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠল তেলেঙ্গানায়। ছাগল চুরির অভিযোগে এক দলিত যুবক এবং তাঁর বন্ধুকে দড়ি দিয়ে পা বেঁধে উলটো করে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। বর্বরতার সীমা ছাড়িয়ে তাঁদের নিচে ধরিয়ে দেওয়া হল আগুন। তারপরে চলল মারধর। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তারপরেই পুলিশ হত্যার চেষ্টা এবং তপশিলি জাতির বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার মাঞ্চেরিয়াল জেলায়।
জানা গিয়েছে, ওই দুজন এলাকার একটি খামারে কাজ করত। সেখান থেকে একটি ছাগল এবং একটি লোহার পাইপ চুরি হয়ে যায়। সেই সন্দেহে খামার মালিক দলিত যুবক এবং তাঁর বন্ধুকে গোয়ালঘরে বেঁধে নির্মমভাবে মারধর করে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১ সেপ্টেম্বর। পরে দলিত ব্যক্তির আত্মীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কারা এই ঘটনার ভিডিয়ো করেছে তা স্পষ্ট নয়। এক ব্যক্তি এবং তার পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে কাজ করা অন্য একজনের সঙ্গে গোয়ালঘরে দলিত ব্যক্তি ও তাঁর বন্ধুকে উল্টো করে ঝুলিয়ে দিয়ে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শনিবার দলিত যুবকের পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে। তাঁরা ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২ (অন্যায়ভাবে আটকে রাখা) এবং ৩০৭ (খুনের চেষ্টা) ছাড়াও এসসি, এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্তের পরে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তি, তার স্ত্রী এবং তাদের ছেলে সহ অন্য একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন।