মজা করে কখনও কানাডা দখল করে নেওয়ার 'ইঙ্গিত', কখনও গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার প্রস্তাব আবার কখনও পানামা খাল পুনর্দখলে বার্তা। প্রেসিডেন্টের গদিতে বসার আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক বার্তায় হৃদস্পন্দন বাড়ছে বিশ্বের। আবার বিগত কয়েক বছরের মার্কিনি চিরাচরিত রাজনীতি থেকে সরে এসে ট্রাম্পের গলায় থেকে থেকেই শোনা গিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা। মার্কিন মিত্র দেশগুলির মধ্যে তাই শঙ্কার মেঘ জমছে। (আরও পড়ুন: ২০২৪ সালেই গুগলের এই ৬ পরিষেবা হল বন্ধ, আপনি জানেন তো?)
আরও পড়ুন: তুষারে ঢাকা পড়েছে শিমলা-মানালি, ঢল পর্যটকদের, দেখুন চোখ জুড়িয়ে যাওয়া সব দৃশ্য
আরও পড়ুন: 'জি স্পট পেয়েছি', আইআইটি বম্বের ফেস্টে কন্ডোমের বিজ্ঞাপন, তারপর যা হল...
এরই মধ্যে অবশ্য গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুটে এগেডে লেন, 'গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্যে নয়'। তবে মার্কিন নিরাপত্তার জন্যে যে গ্রিনল্যান্ড গুরুত্বপূর্ণ, তা মেনে নিয়েছেন তিনি। এদিকে পানামার রাষ্ট্রপ্রধান হোসে রাউল মুলিনো বলেন, পানামা খাল একান্ত ভাবেই পানামার, এবং তা পানামারই থাকবে। পানামা খালের প্রতি বর্গ মিটার পানামার। উল্লেখ্য, এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, পানামা খালতে আমেরিকাকে 'ফিরিয়ে' দিতে বলব আমি। উল্লেখ্য, এই পানামা খাল তৈরি করেছিল আমেরিকা। তবে প্রেসিডেন্ট কার্টারের চুক্তি অনুযায়ী, সেই খালটি পানামার হয়ে যায় ১৯৯৯ সালে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্টের অভিযোগ, সম্প্রতি পানামা খাল দিয়ে মার্কিন জাহাজের যাতায়তে অনেক বেশি চার্জ করা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: Zee-এর অডিটে 'বড় ভুল', নেপথ্যে ২০০ কোটির FD, ২০০০০০০০ টাকা জরিমানা ডেলয়েটকে)
আরও পড়ুন: হাসিনাকে নিয়ে মোদী-ইউনুস সরকারে টানাপোড়েন? ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনার বললেন…
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের 'পারমাণবিক আশা' পাকিস্তান এখন বিদ্রোহী! জোর গলায় USA-কে শেহবাজ বললেন…
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েই তিনি কানাডার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে চলেছেন। জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দেখা করার সময় মজার ছলে আবার তাঁকে 'গভর্নর' বলে সম্বোধন করেছিলেন ট্রাম্প। এদিকে তাঁর নিশানায় কানাডা ছাড়াও আছে মেক্সিকো। এছাড়া ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র চিনকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প জানান, ২০ জানুয়ারি প্রথম যে নির্দেশগুলি দেবেন, তার মধ্যে অন্যতম হল মেক্সিকো এবং কানাডা থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ হারি আমদানি শুল্ক চাপানো হবে। এছাড়া চিনের উদ্দেশে তাঁর হুঁশিয়ারি, সেদেশ থেকে আমেরিকায় রফতানি হওয়া পণ্যের ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হতে পারে। ট্রাম্পের অভিযোগ, চিনে বেআইনি ভাবে তৈরি বহু ওষুধ মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে 'দু'নম্বরী' পথে আমেরিকায় ঢুকছে। তবে এই বিষয়ে চিন কোনও পদক্ষেপ করছে না। ট্রাম্পের কথায়, বেআইনি ওষুধ ইস্যুতে বেজিং যতদিন না পদক্ষেপ করবে, ততদিন ৩৫ শতাংশ হারে চিনা পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ধার্য থাকতে পারে।