ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু অসুস্থ হয়ে ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তাই বাবাকে দেখতে চেয়ে ৩০ দিনের জামিনে মুক্তি চেয়েছিলেন আসারামের ছেলে নারায়ন সাই। উল্লেখ্য,ছেলেও ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। সেই সংক্রান্ত মামলায় নারায়ণের আবেদন খারিজ করল গুজরাট হাইকোর্ট। তবে আসারামের সঙ্গে চার ঘণ্টা দেখা করার অনুমতি দিয়েছে উচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: আশ্রমের ঘেরাটোপেই দিনের পর দিন ধর্ষণ, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আসারাম বাপুর
নারায়ণ সাই বর্তমানে সুরাটের লাজপুর জেলে রয়েছেন। অন্যদিকে, আসারাম রয়েছেন রাজস্থানের যোধপুর কারাগারে। বিচারপতি আই ভোরা এবং এসভি পিন্টোর বেঞ্চ নারায়ণ সাই এবং আসারামকে ৩০ দিনের জন্য জামিনে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে মানবিক হয়ে ৪ ঘণ্টা দেখা করার অনুমতি দিয়েছে।
আদালতের নির্দেশ অনুসারে, সাইকে বিমানে করে যোধপুরে এবং সেখান থেকে আসারামের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে। তার সঙ্গে একজন সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার সহ ছয়জন পুলিশ কর্মকর্তা থাকবেন। ভ্রমণের জন্য নারায়ণকে খরচ বহন করতে হবে। সুরাটের সচিন থানায় সরকারি কোষাগারে এর জন্য ৫ লক্ষ টাকা অগ্রিম জমা করতে হবে।
হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে যে নারায়ণের ভ্রমণের সময়সূচি জানতে পারলে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। তাই এটি গোপন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নারায়ণ এই অর্থ প্রদানের সাত দিনের মধ্যে বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, বাবার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে ৩০ দিনের জামিন চেয়েছিলেন নারায়ণ। তিনি আদালতকে আরও জানান, ১১ বছর ধরে বাবা ছেলের দেখা হয়নি। তারপরেও বেঞ্চ অনুমতি দেয়নি। তবে বাবা ছেলের দেখার সুযোগ করে দেয় আদালত।
হাইকোর্ট আরও শর্ত দিয়েছে যে পরিবারের অন্য কোনও সদস্য সেখানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। নারায়ণকে অবশ্যই জেল প্রাঙ্গনে থাকতে হবে। এমনকি চিকিৎসা জরুরি অবস্থার জন্যও কোনও ব্যতিক্রম ছাড়াই সাক্ষাতের পরপরই তাকে লাজপুর কারাগারে ফিরিয়ে আনারও নির্দেশ দেয় আদালত।
উল্লেখ্য, নারায়ণ সাই ২০১৩ সাল থেকে লাজপুর জেলে বন্দি রয়েছেন। ২০১৮ সালে রাজস্থানের একটি বিশেষ আদালত যোধপুরে আশ্রমে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার জন্য অপরাধে আসারামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। নারায়ণকে পরের বছর ২০১৯ সালে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।