ফের কাশ্মীর নিয়ে নাক গলাল ইসলামাবাদ। আর তার জবাবে পাকিস্তানকে ধুয়ে দিলেন ভারতীয় কূটনীতিক। বুধবার জেনেভায় রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তোপ দাগল ভারত। জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল পাকিস্তান। এর জবাবেই ভারত বলে, পাকিস্তানের এহেন অভিযোগ বিদ্বেষপূর্ণ। এবং এর কোনও ভিত্তি নেই। পাকিস্তানকে নিশানা করে ভারতীয় দূত ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন, পাকিস্তান নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। তাই অন্যদের এই নিয়ে জ্ঞান দেওয়ার জায়গায় তারা নেই। তাদের বক্তব্য ভণ্ডামিতে ভরা। (আরও পড়ুন: শিবরাত্রিতে আমিষ খাওয়া নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মারামারি,ছাত্রীর চুলের মুঠি ধরে টান)
আরও পড়ুন: ঢাকা স্তব্ধ করার হুঁশিয়ারি, গভীর রাত পর্যন্ত পথে শিক্ষার্থীরা, শুরু নয়া আন্দোলন
ভারতীয় কূটনীতিক বলেন, ‘পাকিস্তানের করা ভিত্তিহীন ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিযোগের জবাবে ভারত বলে চায়, এটা খুবই দুঃখজনক যে, পাকিস্তানের নেতা ও কূটনীতিকরা তাদের সামরিক সন্ত্রাসযন্ত্রের মিথ্যাচার প্রচারে লিপ্ত। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ সর্বদা ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ থাকবে। বিগত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নই তার প্রমাণ। পাকিস্তানের মদতে সন্ত্রাসে যে এলাকা এতদিন ভীত-সন্তস্ত্র ছিল, সেখানে এই উন্নয়ন সরকারের কাজের প্রচেষ্টাকেই প্রমাণ করে।’ ভারত নিয়ে এতটা না ভেবে নিজেদের দেশের নাগরিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বলে পাকিস্তানকে খোঁচাও দেন ত্যাগী। এর আগে, পাকিস্তানের আইন, বিচার ও মানবাধিকার মন্ত্রী আজম নাজির তারার দাবি করেছিলেন, রাষ্ট্রসংঘের সনদ, রেজোলিউশন এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে কাশ্মীরে জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ‘লঙ্ঘন’ করা হচ্ছে। তিনি আরও দাবি করেছিলেন যে এই অঞ্চলে মানবাধিকারও লঙ্ঘন করা হচ্ছে যা বন্ধ করা দরকার। (আরও পড়ুন: ফের ভূমিকম্প, এবার ভোররাতে কেঁপে উঠল অসম এবং বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল)
এই আবহে জম্মু ও কাশ্মীরের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে ভারত এই অভিযোগের জবাব দিয়েছে। একই সঙ্গে কাশ্মীরের ওপর নিজেদের সার্বভৌমত্বের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত। ত্যাগী বলেন, 'পাকিস্তান এমন একটি দেশ যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়, সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলে এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দুর্বল করে সেখানকার রাষ্ট্রীয় নীতি। সেই দেশেই আশ্রয় পায় রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীরা। তাই পাকিস্তান কাউকে জ্ঞান দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বক্তব্য ভণ্ডামিতে ভরা। তাদের কর্মকাণ্ড অমানবিক। এটা তাদের রাষ্ট্রের অযোগ্যতাকেই প্রকাশ করে। ভারত তার জনগণের গণতন্ত্র, অগ্রগতি ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সর্বদা দৃঢ় থাকবে ভারত। এরই সঙ্গে মানবাধিকারের প্রচার ও সুরক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে আমাদের দেশ।’