১৯৯৭ সালে অ্যামাজনের দু'টি শেয়ার কিনে ঘুরেছিল ভাগ্য, বেজোসকে চিঠি দম্পতির

অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস সংস্থার প্রধান হিসেবে শেয়ারহোল্ডারদের শেষ চিঠি পাঠালেন গতকাল। এবং তাঁর সেই ই-মেলে তিনি তাঁকে লেখা এক দম্পতির চিঠি জুড়ে দেন। গত কয়েক বছরে সংস্থার অভাবনীয় উত্থানের উদাহরণস্বরূপ সেই চিঠি তিনি সব শেয়ারহোল্ডারকে পাঠান। সাধারণ মানুষ অ্যামাজনের শেয়ার কিনে কতটা লাভবান, তা বোঝাতেই এই চিঠি তিনি শেয়ারহোল্ডারদের পাঠান। বেজোসকে চিঠি পাঠানো দম্পতির নাম মেরি এবং ল্যারি। তাঁদের চিঠিটি নিচে তুলে ধরা হল: প্রিয় মি. বেজোস,অ্যামাজনকে এত অসাধারণ একটি সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলার জন্যে ধন্যবাদ! আমাদের মনে হল যে আপনার সংস্থার শেয়ার কেনার ফলে আমরা কতটা লাভবান হয়েছি, তা জানলে আপনার ভালো লাগবে।১৯৯৭ সালে যখন প্রথমবার আপনি অ্যামাজনকে পাব্লিক করেন তখন আমাদের ছেলে রায়ানের বয়স মাত্র ১২। তার জন্মদিনে আমরা আপনার বই বিক্রি করা সংস্থার দু'টি শেয়ার কিনি। সেই সময় ওটা কেনারই সামর্থ ছিল আমাদের। একবছরের মধ্যেই সেই শেয়ার দুটি স্প্লিট হয়ে ২৪টিতে পরিণত হয়। রায়ান তখনও প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় শেয়ারগুলি আমাদের নামে ছিল। গত বেশ কয়েক বছর ধরে রায়ান তার শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেয়ারের দাম ক্রমে বাড়তে থাকায় সেই সময় তা বিক্রি করিনি আমরা। এরপর আমাদের সেই দুটি শেয়ার এতটা বেড়ে যায় আমরা সেই শেয়ার রায়ান এবং আমাদের মেয়ে কেটির মধ্যে ভাগ করে দেই। এই বছর সেই শেয়ারের কিছু বিক্রি করে রায়ান একটি বাড়ি কিনতে চায়। কাগজের সেই শেয়ারগুলিকে এখন ডিজিটালে পরিণত করতে হবে। কিন্তু আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না যে সেই দুটি শেয়ার এতটা বেড়ে গিয়েছে। অ্যামাজনের সিইও হিসেবে আপনার অসাধারণ কেরিয়ারের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। আমরা ভাবতেও পারি না যে অ্যামাজনকে এত বড় সংস্থা বানাতে আপনাকে এবং আপনার অধীনে থাকা কর্মীদের কত কষ্ট করতে হয়েছে। এবার আপনার রিল্যাক্স করার সময়। আমরা অ্যামাজনকে আরও উচ্চতায় পৌঁছতে দেখতে চাই। আগামী দিনে মারসে পৌঁছবে সংস্থা।বিনীত,মেরি ও ল্যারিপুনশ্চঃ আমরা এখন ভাবি, তখন ১০টা শেয়ার কিনতে পারলে ভালো হত।