কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের নানান প্রান্তে কেএফসি, পিৎজা হাট, বাটা সহ নানান দোকানে, শোরুমে ভাঙচুর চালায় একদল জনতা। জানা যায় ইজরায়েল বিরোধিতা করতে গিয়ে তারা সেদেশের মাটিতে ওই শোরিমগুলি ভাঙচুর করে। এই ঘটনার কিছুদিন পরই একই ছবি দেখা গে পাকিস্তানেও। সেখানেও করাচি থেকে শুরু করে লাহোরে কেএফসি সহ একাধিক বড় আউটলেটে তুমুল ভাঙচুর চলে। ঘটনায় অন্তত ১০ জনকে আটক করেছে। গোটা ঘটনায় ৬০র বেশি জনের বিরুদ্ধে রয়েছে এফাইআর। তারই মাঝে এবার মুসলিম বিশ্বকে ইজরায়েল বয়কটের ডাক দিলেন পাকিস্তানের নামি মৌলবী মুফতি তাকি উসমানি।
পাকিস্তানের নামি মৌলবী মুফতি তাকি উসমানি ডাক দিয়েছেন গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রতি। তাঁর আহ্বান, গোটা মুসলিম বিশ্ব যেন ইজরায়েলকে বয়কট করে। এমনই তথ্য তুলে ধরেছে ‘দ্য ট্রিবিউন এক্সপ্রেস’। তিনি বারবার জোর দিয়েছেন, যাতে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে চলা বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ হয়। তিনি শরিয়া আইন তুলে ধরে সাফ হুঁশিয়ারি দেন যে, কোনও সম্পত্তি বা কোনও ব্যক্তির ক্ষতি করা যাবে না। তিনি বলেন,‘বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত জাতীয় প্যালেস্তাইন সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়, যেখানে গাজা ও প্যালেস্তাইন চলমান সংকট মোকাবেলায় বিভিন্ন মতবাদের অসংখ্য ইসলামী পণ্ডিত একত্রিত হন।’ সেখানে আমেরিকা ও ইজরায়েল দুই দেশেরই বিরোধিতা করা হয়। গাজায় ইজরায়েলের আগ্রাসনের কোনও বিরোধিতা আমেরিকা করছে না বলে অভিযোগের সুর চড়া হয় পাকিস্তানের বুকে।
এর আগে, পাকিস্তানের করাচিতে মঙ্গলবার তাণ্ডব চলে। সেই ঘটনায় গ্রেফতারির পর পুলিশের ডিআইজি আসাদ রাজা বলেন, গাজা যুদ্ধে আমেরিকা ও ইজরায়েলের নীতির বিরোধিতা করে এই জন তাণ্ডব চলেছে। এদিকে, পাকিস্তানের সংবাদ সংস্থা ‘দ্য ডন’ বলছে, করাচিতে ৪০ থেকে ৬০ জন সন্দেহভাজন কোরাঙ্গি শিল্প নগরী এলাকার তাণ্ডব চালায়। বহু জায়গায় ভাঙচুরের চেষ্টা করে। তবে পুলিশে সেই বিক্ষভ রুখে দেয়। সেখানে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।