PTI-Pak Govt Dialogue: এখনই সেনার সঙ্গে কোনও কথা নয়, পাক সরকারের সাথে আলোচনা চায় ইমরানের দল

২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের নানা অংশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আগে পর্যন্তও ইমরান খানের দল - 'পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ' (পিটিআই)-এর তরফ থেকে যে 'পিছন দরজা দিয়ে' পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছিল, তা স্বীকার করে নিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান ব্য়ারিস্টার গোহার আলি খান। তবে, সেই আলাপ-আলোচনা এখন অতীত বলেও দাবি করেছেন তিনি।পাক সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, এখন পিটিআই কেবলমাত্র পাকিস্তানের সরকারের সঙ্গেই আলোচনা করছে। সেনার সঙ্গে কোনও কথা বলছে না তারা।পিটিআই নেতৃত্বের বক্তব্য, যেহেতু পাকিস্তানের সরকার ও প্রশাসন পরিচালনায় বরাবরই সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দেখা গিয়েছে, তাই গতবছর প্রাথমিকভাবে তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছিল।তাদের আরও দাবি, সেনার সঙ্গে পিটিআই নেতৃত্বের আলোচনা ততক্ষণ পর্যন্তই ইতিবাচক ছিল, যতক্ষণ ইমরান খানকে আরও একটি নতুন মামলায় গ্রেফতার করা হয়নি।গোহার জানিয়েছেন, তোষাখানা মামলায় আগেই জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন ইমরান। কিন্তু, তার ঠিক পরই তাঁকে ফের গ্রেফতার করা হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তান জুড়ে যে বিক্ষোভ চলছিল, সেবার সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যার ফলে সেনার সঙ্গে সমস্ত আলোচনা ভেস্তে যায় বলে দাবি করেছেন গোহার।তিনি জানিয়েছেন, আপাতত পাক সেনার সঙ্গে কোনও আলোচনায় থাকছে না পিটিআই। কিন্তু, তার অর্থ এই নয় যে ভবিষ্যতে কখনও দুই পক্ষের মধ্য়ে আলোচনা হবে না। কিন্তু, এই মুহূর্তে পাক সরকারের সঙ্গেই বোঝাপড়া করতে বেশি আগ্রহী পিটিআই নেতৃত্ব।সম্প্রতি আরও একটি রটনা সামনে আসে। শোনা যায়, ধৃত ইমরান খানকে আদিয়ালা জেল থেকে বানিগালায় তাঁর বাসভবনে স্থানান্তরিত করা হতে পারে।এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গোহার সংবাদমাধ্যমকে জানান, এই খবর একেবারেই ভুয়ো। কারণ, তাঁরা মনে করেন, ইমরান খানের গ্রেফতারিই আদতে বেআইনি। তাই, এই ধরনের প্রস্তাব করার কোনও অর্থ নেই।গোহারের বক্তব্য, তাঁরা শর্তসাপেক্ষে ইমরান খানের মুক্তি চান না। কারণ, তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে।সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও অস্থিরতা কাটাতে ইমরান খান, পিএমএল - এন দলের প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফ এবং পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারির মধ্য়ে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছেন পিএমএল - এন নেতা রানা সানাউল্লাহ।কিন্তু, গোহার মনে করেন, বর্তমান পরিস্থিতি এবং মতাদর্শগত বিভেদের জন্য এখনই এমন কোনও বৈঠক করা সম্ভব নয়।