বিশ্বের ১৪ টি দেশের জন্য ট্রাম্পের আমেরিকা ঘোষণা করে দিয়েছে পারস্পরিক শুল্ক। সেই দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। বাংলাদেশের ওপর আমেরিকা ৩৫ শতাংশ শুল্ক লাগু করেছে। এই শুল্ক আরোপের পাশাপাশি বাংলাদেশ সহ ১৪ দেশে পৌঁছে গিয়েছে ট্রাম্পের চিঠি। শেখ হাসিনা-হীন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহম্মদ ইউনুসের কাছে আসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে?
উল্লেখ্য, ১ অগস্ট থেকে লাগু হবে, ট্রাম্পের আরোপ করা শুল্ক। সেই শুল্ক আরোপের আগে, ১৪ দেশে আরোপিত শুল্ক সম্পর্কিত চিঠিতে বাংলাদেশের মুহম্মদ ইউনুসকে ট্রাম্প কী লিখেছেন, তা দেশ ভেদে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেন ট্রাম্প। এর আগে, বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক ধার্য হয়, তবে এবার তা নেমে আসে ৩৫ শতাংশে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে ঠিক কী বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প? দেখা যাক।
ইউনুসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে লেখা হয়,' আপনাকে এই চিঠি পাঠানো আমার জন্য অনেক সম্মানের, যাতে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের দৃঢ়তা ও অঙ্গীকারের প্রতিফলন রয়েছে।' এই লাইনের সঙ্গে শুরু হয় চিঠি। এরপর লেখা হয়, ‘আপনার মহান দেশের সঙ্গে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। তথাপি, আমরা আপনার সঙ্গে সামনে এগিয়ে চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তবে তা হবে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ভিত্তিতে। সে কারণে আমরা আপনাকে বিশ্বের এক নম্বর বাজার যুক্তরাষ্ট্রের অসাধারণ অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’ চিঠির এক জায়গায় লেখা রয়েছে,' বাংলাদেশের শুল্ক ও অশুল্ক, নীতিসমূহ এবং বাণিজ্যিক প্রতিবন্ধকতার কারণে যে দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী বাণিজ্য ঘাটতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে আমাদের অবশ্যই সরে আসতে হবে। দুঃখজনকভাবে, আমাদের সম্পর্ক একে অপরের সমকক্ষ থেকে অনেক দূরে। ২০২৫ সালের ১ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো বাংলাদেশের যে কোনো ও সব ধরনের পণ্যের ওপর আমরা মাত্র ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করব।' উল্লেখযোগ্যভাবে চিঠিতে লেখা রয়েছে,'উচ্চ শুল্ক এড়ানোর উদ্দেশ্যে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হলে সেগুলোর ওপরও সেই উচ্চ শুল্ক আরোপ হবে। অনুগ্রহ করে এটা অনুধাবন করবেন যে, ৩৫ শতাংশ সংখ্যাটি আপনার দেশের সঙ্গে আমাদের যে বাণিজ্য ঘাটতি বৈষম্য রয়েছে, তা দূর করার জন্য যা প্রয়োজন তার থেকে অনেক কম।'
ইউনুসকে লেখা ট্রাম্পের চিঠিতে লেখা রয়েছে,'যদি কোনো কারণে আপনি আপনার শুল্ক বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেন, তখন আপনি যে পরিমাণ শুল্ক বাড়াবেন, তা আমাদের আরোপিত ৩৫ শতাংশ শুল্কের ওপর যোগ করা হবে।' চিঠির শেষ পর্যায়ে লেখা রয়েছে,'আপনার বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে আমরা আগামী বছরগুলোতে আপনার সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আপনি যদি এখন পর্যন্ত বন্ধ রাখা আপনার বাণিজ্য বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত করতে চান এবং শুল্ক, অশুল্ক নীতি ও বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা দূর করেন তাহলে আমরা সম্ভবত এই চিঠির কিছু অংশ পুনর্বিবেচনা করতে পারি।'