'কুল' সুনীল, দুর্ধর্ষ গুরপ্রীত- কীভাবে লেবাননকে পেনাল্টিতে হারিয়ে সাফ ফাইনালে ভারত? দেখুন ভিডিয়ো

রুদ্ধশ্বাস। অবিশ্বাস্য। অসাধারণ। এই শব্দগুলি ভারত ও লেবাননের ম্যাচের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে পারে। লেবাননকে হারিয়ে সাব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় দল। গোলরক্ষক গুরপ্রীত সিংহ সাধুর নজরকারা পারফরম্য়ান্স ট্রাইবেকারে ম্যাচ জিতে নেয় সুনীল ছেত্রীরা। ৪-২ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় ইগর স্টিমাচের দল। এ নিয়ে লেবাননকে দুইবার হারালো তারা। এর আগে ওড়িশায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে জয়লাভ করে ভারত।ম্যাচের শুরু থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এই দুই দলের মধ্যে কঠিন লড়াই হতে চলেছে। ওড়িশার ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রথম থেকে ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী সহ অন্যান্য ফুটবলারদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে দেয়নি লেবানন। বিভিন্ন সময়ে গোলের মুখে ভারতীয় দল পৌঁছে গেলেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে লেবাননও খেলা শুরু হওয়ার প্রথম মিনিটেই সুযোগ পেয়ে এগিয়ে গেলেও গোল করতে পারেনি। ভারতের প্রীতম কোটালও একটি গোল ফসকান। প্রথমার্ধ থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা গড়ালেও গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় ৯০ মিনিট। এরপর অতিরিক্ত সময়তেও গোল করতে পারেনি কোনও পক্ষই। স্বাভাবিকভাবেই খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকার মানেই গোলকিপারের হাতে ম্যাচ। যে দলের গোলরক্ষক ভালো করবে ম্যাচ নিয়ে যাবে সেই দল। হলেও তাই। প্রথম পেনাল্টি বাঁচাতে এসে লেবাননের শট বাঁচিয়ে দেন ভারতীয় গোলরক্ষক গুরপ্রীত। লেবাননের প্রথম শটে পিছিয়ে যাওয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সুনীল ছেত্রীরাও ঝাঁপিয়ে পড়েন। চারটি শটেই গোল করে তারা। অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী, আনোয়ার আলি, মহেশ সিং এবং উদন্তা সিং পেনাল্টিতে গোল করেন। অন্যদিকে প্রথম পেনাল্টি শট আটকে যাওয়ার পর আরও একটা শট ফসকায় লেবানন। তাদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ২। ফলে পেনাল্টিতে ৪-২তে জিতে সাফ কাপের ফাইনালে ভারত।৪ জুলাই ফাইনাল ম্যাচে কুয়েতের মুখোমুখি হবে ভারত। অন্য দিক থেকে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে কুয়েত। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত আটবার খেতাব জিতেছে। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সবচেয়ে ধারাবাহিক দল তারা। নবম খেতাব জয়ের লক্ষে থাকা দল ১৩ বার ফাইনাল খেলেছে। সামগ্রিকভাবে ছন্দেই রয়েছে ভারতীয় দল। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন অতিরিক্ত সুনীল নির্ভরতা কাটাতে হবে দলকে। এছাড়াও আরও একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে থাকা ভারতের প্রধান কোচ ইগর স্টিমাচ। বর্তমানে তার জায়গায় মাঠে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন মহেশ গাউলি।