জসপ্রীত বুমরাহের পুরো ফিট হয়ে ওঠা এবং টিম ইন্ডিয়ায় প্রত্যাবর্তন ঘিরে রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। গত সপ্তাহে জানা গিয়েছে যে, পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের জন্য অস্ত্রোপচারের পরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমীতে বুমরাহের রিহ্যাব সময় সূচি অনুযায়ী চলছে, কারণ তিনি অগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের হাত ধরে প্রত্যাবর্তন করতে চাইছেন। এর দু'দিন পরে খবর প্রকাশিত হয় যে, বুমরাহ এনসিএ-তে দিনে ৭ ওভার বল করছেন এবং তিনি কয়েকটি অনুশীলন গেম খেলতে চলেছেন। বুমরাহকে নিয়ে আর একটি বড় খবর সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, সেটা হল, তিনি সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপ খেলতে প্রস্তুত। আর বৃহস্পতিবারই রবিচন্দ্রন অশ্বিন ভারতীয় পেসারের প্রত্যাবর্তন নিয়ে বড় আপডেট দিয়েছেন।
২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের ক্রীড়া সূচি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়। এবং বিভিন্ন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচগুলি সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করার সময়েই বুমরাহকে নিয়ে ইতিবাচক আপডেট দিয়েছেন অশ্বিন। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলা ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচের কথা বলার সময়ে বুমরাহকে নিয়ে মুখ খুলেছেন। যেটা ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তদের কাছে নিঃসন্দেহে খুশির খবর।
অশ্বিন তার ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘আইসিসি ইভেন্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে শেষ কয়েকটি ম্যাচ অসাধারণ ছিল। আমি মনে করি, আমরা আরও একটি ব্লকবাস্টার ভারত-পাকিস্তান খেলা দেখতে পাব। এটি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ একটি ম্যাচ হতে চলেছে। কারণ পাকিস্তানেরও একটি মানসম্পন্ন সিম আক্রমণ রয়েছে। ভারতের জন্য, স্পষ্টতই, আমরা বুমরাহ, এমন কী প্রসিধ কৃষ্ণকেও পাব বলে আশা করছি... এঁরা ফিট হয়ে উঠবে তত দিনে। আমি জানি না, কী টিম হবে। তবে সব মিলিয়ে একটা দারুণ প্রতিযোগিতা হতে চলেছে।’
বুমরাহ গত বছর থেকেই ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই মিস করেছেন – দু'টি এশিয়া কাপের সময়ে এবং একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে যদি তিনি এশিয়া কাপের আগে ফিট হয়ে ওঠেন, তবে অবশ্যই তিনি তিনটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলবেন। বিশ্বকাপের আগে এখনও সাড়ে তিন মাস বাকি রয়েছে। তার আগেই এই ম্যাচ ঘিরে তুমুল উন্মাদনা। আমদাবাদের হোটেলগুলি ইতিমধ্যেই অগ্রিম বুকিং হয়ে গিয়েছে এবং টিকিট বিক্রি শুরু হলে নিঃসন্দেহেই তা হটকেকের মতো বিকোবে।
অশ্বিন বলেছেন, ‘আমি যে খেলাটির কথা বলতে চাই সেটি হল, ১৫ অক্টোবর আমদাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। অবশ্যই এটি নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে থাকবে। সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাবে। নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ১,৩০,০০০ দর্শক ধরে। এমন কী ২০১১ বিশ্বকাপেও আমদাবাদে সুখ স্মৃতি ছিল। একই ভেন্যুকে তখন মোতেরা স্টেডিয়াম বলা হত, যেখানে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আমাদের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হয়েছিল এবং অজিদের হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল ভারত। আমরা পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম এবং সেই বিশ্বকাপে জিতেছিলাম।’
তিনি যোগ করেছেন, ‘কিন্তু নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম থেকে আমরা এই বছরের আইপিএল এবং এই ভেন্যুতে কিছু ওডিআই থেকে কিছু শিক্ষা পেয়েছি। আইপিএল থেকে আমরা জেনেছি যে, এটি শুভমন গিলের হোম ভেন্যু এবং ও এখানে ব্যাটিং করতে পছন্দ করে। তাই এখানে ম্যাচ ও সত্যিই উপভোগ করবে। আইপিএল চলাকালীন খেলার দ্বিতীয় ইনিংসের সময় বল বেশি সুইং হয়েছিল। মহম্মদ শামি এবং হার্দিক পান্ডিয়া উভয়েই এখানে বোলিং উপভোগ করেছে। এমন কী প্রসিধও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ওডিআইয়ের সময়ে এখানে বোলিং উপভোগ করেছিল। আমরা এখানে ২৪০ রানও ডিফেন্ড করেছি। এবং জিতেছি। আমরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে আমি জানি না, এখানে কতটা টস ফ্যাক্টর হবে। অন্যান্য ভেন্যুতে আমরা প্রথমে বোলিং বেছে নিতে পারি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।