ভাঙড়ে ফের রক্তঝরা রাজনৈতিক হিংসা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চালতাবেড়িয়ায় প্রকাশ্য রাস্তায় গুলি চলল। বাড়ি ফেরার সময় তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। তৃণমূল নেতার নাম রজ্জাক খাঁ। ঘটনার পর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র উত্তেজনা।ঘটনার পর থেকেই তৃণমূলের অভিযোগ, আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত।
আরও পড়ুন: অন্নপ্রাশনের নিমন্ত্রণে যাওয়া TMC নেতাকে অন্ধকার রাস্তায় তাড়া করে কুপিয়ে খুন!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময় বাড়ি ফিরছিলেন রজ্জাক। সেই সময় বাইকে করে এসে একদল দুষ্কৃতী আচমকা গুলি চালায় তাঁর ওপর। গুলি করার পরে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়েও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিধায়ক শওকত মোল্লার ঘনিষ্ঠ হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন রজ্জাক খাঁ। দলে তাঁর সক্রিয়তা ও জনপ্রিয়তা নিয়েই তাঁকে নিশানা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। হামলাকে ‘পরিকল্পিত খুন’ বলেও অভিহিত করা হচ্ছে। দলীয় কর্মীরা এই খুনের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলেন তাঁরা।ঘটনার জন্য সরাসরি আইএসএফ আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করেছেন বিধায়ক সওকত মোল্লা। তাঁর কথায়, ‘প্রথমে গুলি, তারপর কুপিয়ে খুন করা হয়েছে রজ্জাককে।’ ঘটনার খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তদন্ত শুরু করেছে তারা। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত যদিও কেউ ধরা পড়েনি। অপরাধীদের চিহ্নিত করতে তৎপর পুলিশ।
উল্লেখ্য, ভাঙড়ে প্রায়ই হিংসার ঘটনা ঘটে থাকে। সেই কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২৪ সালের ২ জানুয়ারি ভাঙড়-সহ চারটি থানা কলকাতা পুলিশের অধীনে আনা হয়। লক্ষ্য ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। এর মধ্যে নতুন থানা হিসেবে যুক্ত হয় চন্দনেশ্বর ও পোলেরহাট। কিন্তু সেই উদ্যোগের পরও পরিস্থিতির যে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি, বৃহস্পতিবারের খুন তার বড় প্রমাণ। তৃণমূল নেতার মৃত্যুর পর ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভাঙড়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।